প্রতি মাসে দুটি একাদশী ও প্রতিটি একাদশী বিভিন্ন নামে পরিচিত। রাত পোহালেই পালিত হবে যোগিনী একাদশী। সনাতন পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, প্রতি বছর আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীতে যোগিনী একাদশী পালিত হয়। এ দিনে, ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মী, বিশ্বের রক্ষক হিসেবে পুজো করা হয়। পাশাপাশি ভক্তরাও একাদশী তিথিতে উপবাস করে থাকেন। এই একাদশীর দিন উপবাস পালন করার জন্য অনেক কঠোর নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলি মেনে চললে ভক্তরা ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেয়ে থাকেন। তাঁর কৃপায় ভক্তের গৃহে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। শুধু তাই নয়, আয় বৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। একাদশী তিথিতে ভক্তি সহকারে ভগবানের পুজো করা উচিত। একাদশী তিথিতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই নিয়মগুলি মেনে চললে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়। ইচ্ছে পূরণের জন্য যোগিনী একাদশীতে এই ব্যবস্থাগুলি করতে হবে। এসব নিয়ম মেনে চললে কেরিয়ার ও ব্যবসায় উন্নতির নতুন মাত্রা পেয়ে থাকেন।
এই সহজ নিয়মগুলি কী কী, তা দেখে নেওয়া যাক…
– বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে তাহলে একাদশীর দিন ঘরে হলুদ জল বা গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। এতে বাস্তু দোষ দূর হয়। এ সময় ‘ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ’ মন্ত্রটি জপ করুন। এই মন্ত্রের প্রভাবে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায়।
– কর্মজীবনে উন্নতির নতুন মাত্রা পেতে হলে যোগিনী একাদশীর দিনে শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে লক্ষ্মী নারায়ণের পূজা করতে পারেন। এছাড়াও পূজার সময় নারায়ণ কবচ পাঠ করতে পারেন। এতে খুশি হয়ে ভগবান বিষ্ণু জ্ঞান দান করেন। অন্যদিকে, ধনলক্ষ্মী সম্পদ প্রদান করেন এদিন।
– ভগবান বিষ্ণুকে খুশি করতে হলে যোগিনী একাদশীর দিন তুলসী দেবীর পুজো করে থাকেন। হিন্দু মতে, পৃথিবীর রক্ষক ভগবান বিষ্ণুর কাছে তুলসী অত্যন্ত প্রিয়। তাই তাঁর পূজা করলে ভগবান বিষ্ণু দ্রুত প্রসন্ন হন। এই ধরনের ভক্তদের উপর ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।
– অশ্বত্থ গাছে লক্ষ্মী নারায়ণ বাস করেন বলে হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করা হয়। শুধু তাই নয়, অশ্বত্থ গাছে অন্যান্য দেবতা ও পূর্বপুরুষদেরও অধিবাস। তাই যোগিনী একাদশীর দিন অশ্বত্থ গাছের পুজো করুন। অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করুন। এছাড়াও ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করা উচিত। এতে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।