
গরুড় পুরাণে শুধু জীবন-মৃত্যুই নয়, সাফল্য, সম্পদ ও সুখ লাভের উপায়ের কথাও উল্লেখ রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি মেনে চললে সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারবেন সকলে। হিন্দু ধর্মে গরুড় পুরাণকে মহাপুরাণের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। গরুড় পুরাণে ভগবান বিষ্ণু ও তাঁর প্রিয় বাহন গরুড় দেবের মধ্যে কথোপকথনও বর্ণনা করা হয়েছে। এই পুরাণে ভগবান বিষ্ণুর জন্ম-মৃত্যুর চক্র, আত্মার যাত্রার পাশাপাশি সফল ও সুখী জীবন লাভের কথাও বলা হয়েছে। গরুড় পুরাণে উল্লিখিত এই নিয়মগুলি মেনে চললে একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্য, সম্পদ ও ভাগ্যের পূর্ণ সহায় থাকতে পারেন। এর জন্য সকালের সময়ের জন্য গরুড় পুরাণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সকালের এই নিয়মগুলো জীবনকে উন্নত করবে
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে একজন ব্যক্তি যদি সকালে নিয়মিত কিছু বিশেষ কাজ করেন, তাহলে তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। সেই ব্যক্তির ঘুমন্ত ভাগ্য জেগে উঠতে পারে। সকালের সময় খুবই বিশেষ ও এর উত্তম প্রকৃতি সারাদিনকে সফল, আনন্দদায়ক ও ভালো করে তোলে।
– প্রতিদিন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে স্নান করে ভগবানের দর্শন করে যথাযথভাবে পুজো করুন। এরপরে আপনার পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ নিন। গরুড় পুরাণ অনুসারে, ভগবান ও পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ নিয়ে দিন শুরু করলে সর্বদা জীবনে সাফল্য পান।
– কিছু খাওয়ার আগে প্রতিদিন ভগবানকে ভোগ নিবেদন করতে ভুলবেন না। এতে করে দেবী লক্ষ্মী ও দেবী অন্নপূর্ণা-সহ সকল দেব-দেবী আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। এমন ঘর সর্বদাই সম্পদে পরিপূর্ণ।
-সুযোগ পেলেই গরিব-দুঃখীকে সাহায্য করুন। আয়ের একটি অংশ দাতব্য কাজে বিনিয়োগ করুন। যে ব্যক্তি শুধু এই জীবনেই সব সুখ পায় তাই নয়, মৃত্যুর পর স্বর্গও পায়। জীবনে কখনও সম্পদের অভাব হয় না।
– গরুড় পুরাণ অনুসারে, প্রতিটি মানুষকে প্রতিদিন আত্মদর্শন করতে হবে। তাতে সঠিক ও ভুল সিদ্ধান্তের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে। ভবিষ্যতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিচক্ষণতা গড়ে তুলতে পারে।