Garuda Purana: এই নিয়ম মানলে জীবনে কখনও কারওর কাছে হারবেন না আপনি! হবে অর্থ-সম্পদের বৃষ্টিও

Lord Vishnu: এই শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, পরিবারের সদস্যের মধ্যে কারওর মৃত্যু হলে বাড়িতেই এই শাস্ত্র পড়া উচিত। গরুড় পুরাণ সাধারণত তিন ভাগে বিভক্ত। আচারখণ্ড, ধর্মকাণ্ড ও ব্রহ্মকাণ্ড। এর মধ্যে আচারখণ্ড বা পূর্বখণ্ড, যা গরুড় পুরাণের প্রথম অংশ। এই অংশটি যে কোনও সময় পাঠ করা যেতে পারে। 

Garuda Purana: এই নিয়ম মানলে জীবনে কখনও কারওর কাছে হারবেন না আপনি! হবে অর্থ-সম্পদের বৃষ্টিও

| Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 05, 2023 | 9:30 AM

হিন্দুধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে অন্যতম হল গরুড় পুরাণ। শাস্ত্রেও এর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। গরুড় পুরাণে, বিষ্ণুদেব জীবনে সাফল্য অর্জনের নানা অজানা তথ্য উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, মৃত্যুর পর আত্মার যাত্রাও গরুড় পুরাণে বর্ণিত রয়েছে। বলা হয়, যদি কেউ গরুড় পুরাণ পাঠ পড়েন তাহলে তিনি জীবনের সবটাই  আত্মসাত্‍ করতে সক্ষম হবেন। অনেেরই গরুড় পুরাণ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। এই শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, পরিবারের সদস্যের মধ্যে কারওর মৃত্যু হলে বাড়িতেই এই শাস্ত্র পড়া উচিত। গরুড় পুরাণ সাধারণত তিন ভাগে বিভক্ত। আচারখণ্ড, ধর্মকাণ্ড ও ব্রহ্মকাণ্ড। এর মধ্যে আচারখণ্ড বা পূর্বখণ্ড, যা গরুড় পুরাণের প্রথম অংশ। এই অংশটি যে কোনও সময় পাঠ করা যেতে পারে।

শাস্ত্র অনুসারে, গরুড় পুরাণের প্রথম অংশে, মহাবিশ্বের উৎপত্তি, মেরুগুলির চরিত্র, গ্রহগুলির মন্ত্র, উপাসনা পদ্ধতি, জ্ঞান, ত্যাগের মতো বিষয়গুলির বর্ণনা রয়েছে। ভক্তি, দান, তপস্যা, জপ, তীর্থযাত্রা ও সদাচরণ, যজ্ঞ, সৎকর্ম। মনে করা হয়, প্রত্যেক মানুষের অবশ্যই জীবনে এই শাস্ত্রের প্রথম অংশ পড়া উচিত। তাতে বিভিন্ন জিনিস জীবনে আত্মসাৎ করতে হবে। এই শাস্ত্র পড়া হলে ও মর্ম বুঝে কাজ করলে যে কেউ ব্যক্তিই নানা খারাপ বা বাজে কাজ করা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। জীবনে অপার সুখ লাভ করতে সক্ষম হবেন বলে মনে করা হয়।

গরুড় পুরাণ অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু ৪টি এমন কাজের কথা জানিয়েছেন, তাতে যে কোনও মানুষের জীবন বদলে যেতে পারে,  সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। জীবনে সফলতাও অর্জন করবে।

জীবনের উল্লেখযোগ্য ৪ কাজ কী কী?

– গরুড় পুরাণ অনুসারে, একজন মানুষকে নিয়মিত স্নান করার পর ঈশ্বরের আরাধনা করা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যদি পূজা দিয়ে দিন শুরু করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি দেব-দেবী ও পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ লাভ করেন। পাশাপাশি প্রতিটি কাজেই সফলতা অর্জন করবেন আপনি।

– সকালে খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ভগবানকে নিবেদন করা উচিত। এরপরেই খাবার গ্রহণ করুন। যদি এই নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে আপনি দেবী অন্নপূর্ণার আশীর্বাদ পেতে পারেন। ব্যক্তির সুখ ও সমৃদ্ধির অভাব ঘটে না।

– ভগবান বিষ্ণু গরুড় পুরাণে জানিয়েছেন, যে প্রত্যেককে দিনে একবার আত্মদর্শন করা উচিত।  তাতে সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন আপনি।  মনে নতুন চিন্তার উদ্রেক ঘটবে।

– ভগবান বিষ্ণুর মতে, প্রতিদিন কিছু অভাবীকে সাহায্য বা দান করা উচিত। সামর্থ্য অনুযায়ী ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার খাওয়াতে পারেন। গরুকে রুটি খাওয়াতে পারেন। শুধু তাই নয়, পাখি বা কুকুরকেও খাবার দিতে পারেন। নিয়মিত এই কাজগুলো করলে যে কেউ পূণ্যিলাভ করতে পারেন।