
হিন্দুধর্মে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার নিয়ম রয়েছে। যেগুলি মেনে চললে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি ভরে উঠে। তেমনি বেশ কিছু কাজ বা ব্যবস্থা রয়েছে, যেগুলি সন্ধ্যের সময় একেবারেই করা উচিত নয়। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে সেই কাজগুলি করা নিষিদ্ধ। শাস্ত্রমতে, সন্ধ্যের সময় কখনও অশুভ কাজগুলি করা উচিত নয়। ভুলেও যদি করে থাকেন, তাহলে অজান্তেই জীবনে নেমে আসতে পারে সমস্যা ঝড়। সেই ঝড়ে টালমাটাল অবস্থা হতে পারে। স্বাস্থ্য থেকে অর্থ, সবেতেই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। কোন কোন কাজে একেবারেই হাত দেবেন না, তা জেনে নিন এখানে…
হিন্দু ধর্মে প্রতিটি কাজের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক কাজের কথা বলা হয়েছে যা সূর্যাস্তের পর করা উচিত নয়। এর ফলে লক্ষ্মী ঘর ছেড়ে চলে যান।
কোন কাজ একেবারেই করবেন না
শাস্ত্রে মতে, ঝাড়ুতে দেবী লক্ষ্মী বাস করেন। আর ঘর পরিষ্কার করার পরই দেবী লক্ষ্মীর আগমন। কিন্তু সন্ধ্যায় ঘরে ঝাড়ু দেওয়া নিষিদ্ধ। এতে লক্ষ্মী খুব রেগে যান।
ভুলেও কী কী করবেন না
হলুদ সরাসরি বৃহস্পতির সঙ্গে সম্পর্কিত। বৃহস্পতিকে সম্পদ ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাই সূর্যাস্তের পর হলুদ দেওয়া উচিত নয়। এই কারণে বৃহস্পতিদেব ব্যক্তির উপর ক্রুদ্ধ হন। যার কারণে ব্যক্তির অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
কোন জিনিস দান করা উচিত নয়
জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্যাস্তের পর কিছু জিনিস দান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বিশ্বাস করা হয় যে সূর্যাস্তের পর সাদা জিনিস দান করলে দেবী লক্ষ্মী রাগ করেন। দুধ, দই, পনির, চিনি, লবণ ইত্যাদি কখনওই দান করা উচিত নয়। এ সময় অর্থের লেনদেনও এড়িয়ে চলতে হবে।
কী কী খাবেন না
রাতে দই খাওয়া স্বাস্থ্য ও বাস্তুর দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক নয়। দই শুক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। শুক্র হল সম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। অপ্রয়োজনীয় সমস্যা এড়াতে চাইলে রাতে দই খাবেন না।
কী কী এড়িয়ে যেতে হবে
বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম বলে যে সন্ধ্যেয় কাপড় কখনওই ধোয়া উচিত নয়। কারণ সূর্যাস্তের পর বায়ুমণ্ডলে নেতিবাচকতা বেড়ে যায়। ও রাতে কাপড় শুকানোর ফলে তাদের মধ্যে নেতিবাচকতা প্রবেশ করতে পারে। ওই পোশাক ব্যবহার করা ব্যক্তিকে নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।