সুখী জীবনযাপন আমরা সকলেই করতে চাই। দাম্পত্য জীবন সুখের হলে গৃহেও শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে অশান্তি চললে সংসারেও কলহ দেখা যায়। নানা কারণে বাড়িতে ঝামেলা চলতে থাকে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তু শাস্ত্রের কাছে এই সমস্যার সমাধান রয়েছে। অনেক সময় ভুল বাস্তু টিপসের কারণে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি নেমে আসে। তার প্রভাব আপনার কাজে কর্মেও পড়ে। সেক্ষেত্রে আপনি এই বাস্তু টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন।
আপনার বাড়ির মঙ্গল আপনার ঘুমের দিকের উপরও নির্ভর করে। আপনি যে দিকে মাথা এবং পা করে ঘুমান সেটিও আপনার বাড়ির মঙ্গল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাতে ঘুমানোর সময় পূর্ব দিকে মাথা রাখুন। এটি আপনাকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেবে। এটি করলে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়।
যে বাড়িতে নিয়মিত হনুমানজির পুজো করা হয়, সেই বাড়ি থেকে সব ধরনের ঝামেলা ও ঘরোয়া বিবাদ দূরে থাকে। যদি কোনও মহিলা ঘরে ঝগড়া-বিবাদে অস্থির হয়ে থাকেন, তাহলে ভোজপত্রে লাল পেন দিয়ে স্বামীর নাম লিখুন এবং হান হনুমন্তে নমঃ মন্ত্রটি ২১ বার উচ্চারণ করার সময় সেটি বাড়ির যে কোনও কোণে রাখুন। এছাড়াও ১১টি মঙ্গলবার নিয়মিত হনুমান মন্দিরে ছোলা এবং সিঁদুর নিবেদন করুন। এটি করলে আপনি সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রতিদিন সকালে স্নানের পর পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন এবং মন্দিরে বা বাড়িতে শিবলিঙ্গের সামনে বসে ভগবান শিবের পুজো করুন। আপনি ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র ১০৮ বার জপ করতে পারেন। এরপর শিবলিঙ্গে জল অভিষেক করুন। এটি নিয়মিত করলে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে সুখ শান্তি বজায় থাকে।
যদি কোনও বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী বা পিতা-পুত্রের মধ্যে কলহ দেখা দেয় বা কোনও বিষয়ে বিবাদ চলে, তবে গণেশের পুজো করলে উপকার পাবেন। বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে, আপনার প্রতিদিন লাড্ডু নিবেদন করে শ্রী গণেশ জি এবং শক্তির পুজো করা উচিত। চিনি বা ময়দা নিয়ে পিঁপড়ার গর্তের কাছে রাখলে গৃহস্থের সমস্যার সমাধান হয়। এটি আপনাকে টানা ৪০ দিন করতে হবে। মনে রাখবেন এই প্রক্রিয়া একদিনও বাদ দেওয়া যাবে না।
ঘরের ঝামেলা কমাতে স্বামী-স্ত্রীর রাতে ঘুমানোর সময় বালিশে সিঁদুর ও কর্পূর রাখতে হবে। একটা কাপড়ে সিঁদুর ও কর্পূর নিয়ে সেটা মুড়ে রাখতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে সূর্যোদয়ের আগে সেই সিঁদুরের থলি ঘরের বাইরে ফেলে দিন এবং কর্পূর বের করে ঘরে পুড়িয়ে দিন। এতে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি হবে। পাশাপাশি সংসারে অশান্তি কমবে।