Garuda Purana: যখন-তখন দান করবেন না! অর্থকষ্ট এড়াতে দানকর্ম করার সঠিক নিয়ম জানাচ্ছে গরুড় পুরাণ

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Mar 13, 2023 | 6:00 AM

Donation: গরুড় পুরাণে উল্লিখিত এই শ্লোকের মর্মার্থ হল যে, কোনও ব্যক্তির দান করা উচিত নয় যখন সে নিজে দরিদ্র।

Garuda Purana: যখন-তখন দান করবেন না! অর্থকষ্ট এড়াতে দানকর্ম করার সঠিক নিয়ম জানাচ্ছে গরুড় পুরাণ

Follow Us

দান করা একটি অত্যন্ত পুণ্যের কাজ বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দান করলে পুণ্যকর্মের বৃদ্ধি হয় ও আপনি শুধু এই জন্মেই নয় বহু জন্মে দান ফল পাবেন। মৃত্যুর পরেও দান-কর্মের ফল পেয়ে স্বর্গে স্থান পায়। সেই সঙ্গে দান করলে ঈশ্বরও খুশি হন। কিন্তু নিজে দরিদ্র হওয়া, দাতা হওয়া আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে। তাই দান করুন তখনই যখন আপনি আর্থিকভাবে দান করতে সক্ষম হবেন। গরুড় পুরাণের আচারকাণ্ডে, নিতিসার অধ্যায়ে, সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য অনেক কাজ বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল ‘দান’। সেখানে দানকর্মের গুরুত্ব ও তা কখন করা উচিত তা ব্যাখ্যা করা রয়েছে। আপনি যদি আপনার জীবনে দান করেন তবে আপনাকে কখনওই অর্থের অভাবের মুখোমুখি হতে হবে না। গরুড় পুরাণে উল্লেখিত এই শ্লোক সম্পর্কে জেনে নিন।

দাতা দরিদ্রঃ কৃপণার্থযুক্তঃ পুত্রোবিধেয়ঃ কুজনস্য সেবাঃ।
পরপকারেষু নরস্য মৃত্যুঃ প্রজায়তে দিশ্চরিতানি পঞ্চ।।

গরুড় পুরাণে উল্লিখিত এই শ্লোকের মর্মার্থ হল যে, কোনও ব্যক্তির দান করা উচিত নয় যখন সে নিজে দরিদ্র। দরিদ্র হওয়া আপনাকে দাতা হয়ে গরিব করে তুলতে পারে। এ ছাড়া প্রদর্শনীর জন্য দান করা এড়িয়ে চলতে হবে। বরং আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী দান করুন। এর চেয়ে বেশি দান করা আপনার জন্য বোঝা হয়ে উঠতে পারে। পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।

শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে একজন ব্যক্তি তার উপার্জিত অর্থ বা উপার্জনের এক দশমাংশ অর্থাত্ দশ শতাংশ দান করুন। এর সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও দান প্রয়োজন তাকে দান করুন, তবেই আপনি প্রদত্ত দানের পুণ্য পাবেন। প্রয়োজনের সময় দান করা উচিত নয়। এ ছাড়াও গরুড় পুরাণে সুখী জীবনের জন্য আরও কিছু কথা বলা হয়েছে, যা নিম্নরূপ-

টাকা থাকলে কৃপণ হবেন না– গরিব হলে দান কাজ করবেন না। আবার টাকা থাকলে কৃপণ হবেন না। সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই গরিব-দুঃস্থকে সাহায্য করুন।

সন্তানদের সংস্কৃতিমনষ্ক করে তুলুন- পিতামাতার উচিত সবসময় তাদের সন্তানদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা। যারা করেন না, তারা সমাজে অপমানিত হতে পারেন। তাই সন্তানকে ভাল কাজ ও চিন্তা দিয়ে বড় করে তুলুন।

নিজের সুবিধার জন্য অন্যের ক্ষতি করবেন না- নিজের উপকারের জন্য কখনও কারওর খারাপ করবেন না। এতে আপনিই পাপের শিকার হন।

অধার্মিকের সঙ্গে মিশবেন না – সঙ্গ একজন ব্যক্তির উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই অধার্মিক ও অন্যায় লোকের সঙ্গ পরিহার করুন।

Next Article