Durga Puja 2023: বৃষ্টি কি এবারের পুজো ভেস্তে দিতে পারে? ইঙ্গিত মিলবে উমার আগমন ও প্রস্থানেই

বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকেই বাঙালির মনটা আনচান করতে থাকে উমার জন্য। মহালয়া আর তারপরই শুরু হবে মহামায়ার বোধন। কিন্তু এখন পুজোর আগে সকলেরই একটাই প্রশ্ন, এবারও কি পুজোতে বৃষ্টি হবে? এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন শুধুমাত্র আবহবিদরাই। তবে জ্যোতিষ ও হিন্দুধর্মেও রয়েছে আবহাওয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য। কারণ সব কিছুর মধ্যেই রয়েছে শুভ ও অশুভ ইঙ্গিত। […]

Durga Puja 2023: বৃষ্টি কি এবারের পুজো ভেস্তে দিতে পারে? ইঙ্গিত মিলবে উমার আগমন ও প্রস্থানেই

| Edited By: দীপ্তা দাস

Sep 22, 2023 | 5:01 PM

বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকেই বাঙালির মনটা আনচান করতে থাকে উমার জন্য। মহালয়া আর তারপরই শুরু হবে মহামায়ার বোধন। কিন্তু এখন পুজোর আগে সকলেরই একটাই প্রশ্ন, এবারও কি পুজোতে বৃষ্টি হবে? এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন শুধুমাত্র আবহবিদরাই। তবে জ্যোতিষ ও হিন্দুধর্মেও রয়েছে আবহাওয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য। কারণ সব কিছুর মধ্যেই রয়েছে শুভ ও অশুভ ইঙ্গিত। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ মতে, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকেই শুরু হবে শারদীয়া নবরাত্রি। চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হবে শারদীয়া নবরাত্রি।

ভাদ্র শেষ হলেও বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণই নেই। প্যাচপ্যাচে গরম আর মুষলধারে থেকে থেকেই বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর ফাঁকেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর শপিং। তাই নতুন পোশাক পরে পুজোর হপিংয়ের আনন্দের মাঝে বাদ সাধতে পারে বৃষ্টি এই আশঙ্কায় এখন বুক কাঁপছে বাঙালির। আবহবিদদের সতর্কবার্তার থেকেও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, দেবী দুর্গা এবছর কিসে চড়ে মর্ত্যে আসছেন, প্রস্থান করছেন কিসে চেপে?

প্রতি বছর, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শারদীয়া নবরাত্রি শুরু হয়। নবমী তিথি পর্যন্ত চলে সেই উত্‍সব। পরের দিন দশেরা বা বিজয়া দশমী পালিত হয়। নবরাত্রির প্রথম দিনে ঘটস্থাপনা করা হয়, তারপর অখন্ড জ্যোতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। পঞ্জিকা দেখে অনেকেই জেনে নেন এবছর দুর্গার আগমন ও প্রস্থান কিসে। সাধারণত যে বাহনে চেপে আগমন ঘটে, সেই একই বাহনে নয়, অন্য এক বাহনে চড়ে প্রস্থান করেন উমা। এই বাহন দেখেই নির্ধারণ হয়ে কেমন যাবে এবছরের দুর্গাপুজোর সময়কাল। অনেকেই হয়তো জানেন না, দেবীর এই আগমন ও গমনের সময় বাহনের নির্ধারণ হয় কীভাবে ও এর মাহাত্ম্য কী?

হিন্দু শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী, সাধারণত সিংহ দুর্গার বাহন হলেও, দেবী দুর্গার আগমন শুধুমাত্র দুধরনের বাহনে ঘটে। হাতি বা গজ কিংবা ঘোড়া বা ঘোটক, গমন ঘটে নৌকা অথবা দোলায় চড়ে। এই বাহনের উপরই নির্ভর করে সারা বছর কেমন যাবে? অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, প্রত্যেক বছর দেবী মহামায়ার এই বাহন কীভাবে নির্ধারণ হয় কীভাবে?

নবরাত্রির দিন থেকে নয়, পুজোর সাতদিনের হিসেবে নির্ধারণ হয় বাহন। অর্থাত্‍ সপ্তমী থেকে দশমী বা বিজয়া দশমী পর্যন্ত বাহন নির্ধারণ করা হয় । সপ্তাহের এই দুই দিন কোন বারে পড়ছে, তার উপরই নির্ভর করে দেবী কীসে আসবেন আর কীসে যাবেন।

”রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ। গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং নৌকায়াং বুধবাসরে।।”

এই শ্লোক অনুযায়ী, সপ্তমী যদি রবিবার বা সোমবার পড়ে, তাহলে দুর্গার আগমন হবে গজ বা হাতিতে। একই ভাবে, দশমীও রবিবার বা সোমবারে পড়লে উমার প্রস্থান হবে হাতিতে। শনিবার বা মঙ্গলবার সপ্তমী পড়লে উমার আগমন হবে ঘোটকে বা ঘোড়ায়। দশমীও শনিবার বা মঙ্গলবারে হলে গমনও হবে ঘোড়ায়। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারে সপ্তমী পালিত হলে দেবীর দোলায় আগমন ঘটে। দশমী পালিত হবে দেবী দোলায় গমন করবেন। বুধবার সপ্তমী পড়লে দেবীর নৌকায় আগমন ঘটে আর দশমী পড়লে নৌকায় গমন করেন।

ধর্মীয় শাস্ত্রে, দুর্গার আগমনের জন্য হাতিতে চড়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কৃষিকাজ ও ফসল ফলানোর জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। এ বছর দুর্গাপুজো শেষ হবে মঙ্গলবার, তাই প্রস্থানের সময় বাহন থাকবে ঘোটক। দুর্গা সপ্তশতীর বর্ণনা অনুসারে, দেবী দুর্গার বিদায়ের সময় বাহন ঘোড়া হল প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতীক। অর্থাৎ ভবিষ্যতে কোনও না কোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে, সেই ইঙ্গিতই বহন করে।