
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর চৈত্র শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমানজির জন্মদিন পালন করা হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এদিন হনুমানজি বহু নামে পরিচিত। সঙ্কটমোচন হনুমান মানুষের কষ্ট দূর করেন ও সর্বদা তাঁর ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বজায় রাখেন। শাস্ত্র ও পুরাণ অনুসারে, হনুমানজি কলিযুগে জাগ্রত দেবতা। বজরঙ্গবলীকে খুশি করা খুব সহজ। ভগবান হনুমানের কৃপায় সকল প্রকার মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এই শুভ দিনে মাতা অঞ্জনীর গর্ভ থেকে জন্ম হয়েছিল হনুমানজির। তাই এই দিনটিতে স্মরণে রাখতে ও তিথি অনুযায়ী এই দিনটি খুব জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। হনুমান জয়ন্তীর এই শুভ উপলক্ষ্যে সংকতমোচনকে খুশি করার অলৌকিক মন্ত্রগুলি জেনে রাখা দরকার।। আপনার রাশি অনুসারে এই মন্ত্রগুলি জপ করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
হনুমান জয়ন্তীতে রাশি অনুসারে এই মন্ত্রগুলি জপ করুন
মেষ রাশি
ওম সর্বদুখরায় নমঃ-
বৃষ রাশি
ওম কপিসেনানায়ক নমঃ-
মিথুন রাশি
ওম মনোজওয়ায় নমঃ-
কর্কট রাশি
ওম লক্ষ্মণপ্রন্দাত্রে নমঃ-
সিংহ রাশি
ওম পরশৌর্য বিনাশন নমঃ-
কন্যা রাশি
ওম পঞ্চবক্তা নমঃ-
তুলা রাশি
ওম সর্বগ্রহ বিনাশিনে নমঃ
বৃশ্চিক রাশি
ওম সর্ববন্ধুবিমোক্তরে নমঃ-
ধনু রাশি
ওম চিরঞ্জীবতে নমঃ-
মকর রাশি
ওম সুরচিতে নমঃ-
কুম্ভ রাশি
ওম বজ্রকায় নমঃ-
মীন রাশি
ওম কামরূপিনে নমঃ-
তাৎপর্য
প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জয়ন্তী উদযাপিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান জয়ন্তী তিথিতে নিয়ম করে বজরঙ্গবলীর আরাধনা করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন হনুমান জির পূজা করার সময় বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। রাম দরবারের পুজো করা উচিত, কারণ বিশ্বাস করা হয় হনুমানজির পুজো করার পাশাপাশি শ্রীরামের পূজা না করলে পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়।