
আধ্যাত্মিকতা মানে শুধু পূজা বা মন্দিরে যাওয়া নয়, বরং অন্তরের শান্তি, জীবনের গভীরতর সত্যিটা খুঁজে বের করা এবং আত্মচেতনার জাগরণ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, বেশ কিছু রাশির জাতক জন্মগতভাবেই ধ্যান, যোগ, দর্শন ও আধ্যাত্মিক চর্চায় আকৃষ্ট হন। দেখে নিন, কোন ৫টি রাশির মানুষেরা আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সত্যিকার অর্থে যুক্ত।
মীন রাশির জাতকরা স্বভাবতই কল্পনাশক্তি ও অনুভূতিতে ভরপুর। তাঁরা ভেতরের জগতকে বেশি গুরুত্ব দেন, বাইরের নয়। ধ্যান, সঙ্গীত, শিল্প আর আধ্যাত্মিক সাধনায় মীন রাশির জাতক জাতিকারা সহজেই গভীর সংযোগ খুঁজে পান।
কন্যা রাশির মানুষ আত্মবিশ্লেষণ আর শৃঙ্খলাকে প্রাধান্য দেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন আধ্যাত্মিকতা মানে আত্মশুদ্ধি। নিয়মিত যোগ, প্রার্থনা বা সৎকর্ম তাঁদের জীবনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
কর্কট রাশির জাতকরা আবেগপ্রবণ এবং অন্তর্দৃষ্টিশক্তিতে ভরপুর। তাঁদের কাছে পরিবার, ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতা একে অপরের সঙ্গে জড়িত। অনেক কর্কট রাশির জাতক জাতিকা প্রার্থনা, মন্ত্র বা ভক্তিমূলক কাজে আত্মশান্তি পান।
মকর রাশির জাতকরা শৃঙ্খলা ও গুরুজনের পরামর্শকে ভীষণ গুরুত্ব দেন। জীবনের গভীরতর সত্যের খোঁজ তাঁদের মধ্যে প্রবল। তাঁরা আধ্যাত্মিক গুরু বা দর্শনের পথে সহজেই টেনে নেন নিজেদের।
বৃশ্চিক রাশির জাতকরা জন্মগতভাবে রহস্যপ্রবণ। তাঁরা সবসময়ই জানার চেষ্টা করেন জীবনের আড়ালের সত্য। ধ্যান, তন্ত্র, মন্ত্র কিংবা গুপ্তবিদ্যায় তাঁদের আগ্রহ গভীর। তাঁদের আধ্যাত্মিক চর্চা অনেক সময় অন্যদের অনুপ্রাণিত করে।
এই ৫ রাশির মানুষরা স্বভাবতই আধ্যাত্মিক। তবে এটা মনে রাখা জরুরি, আধ্যাত্মিকতা শুধু রাশির প্রভাবে নয়, নিজের চর্চা, ইচ্ছাশক্তি আর সৎকর্ম দিয়েও অর্জন করা যায়। বিশেষ দ্রষ্টব্য- এই প্রতিবেদনের বক্তব্য জ্যোতিষ শাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Banglaর।