জম্মু ও কাশ্মীরের দুর্গম স্থানে কীভাবে বৈষ্ণোদেবীর মন্দির তৈরি হল? রয়েছে অনেক রহস্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Aug 23, 2021 | 6:18 AM

কীভাবে তৈরি হয়েছিল সেই গুহা, যা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এই মন্দিরটি বিশ্বে সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান হিসাবেও পরিচিত। স্থানীয় ও ভক্তদের বিশ্বাস, এখনো পর্যন্ত এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে এক শক্তিশালী পজিটিভ এনার্জি।

জম্মু ও কাশ্মীরের দুর্গম স্থানে কীভাবে বৈষ্ণোদেবীর মন্দির তৈরি হল? রয়েছে অনেক রহস্য
দুর্গম স্থানে কীভাবে বৈষ্ণোদেবীর মন্দির তৈরি হল

Follow Us

হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের বৈষ্ণদেবীর মন্দিরে দেবীর দর্শন পেলেই জীবনেন মনোবাঞ্ছনা পূরণ হয়, এমনটাই প্রচলিত। এই মন্দিরটি জম্মু-কাশ্মীরের কাটরাতে অবস্থিত। তবে এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু আশ্চর্য ঘটনা। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই মন্দিরে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা আসেন দেবীর পুজো দেওয়ার জন্য। ভারতের পৌরাণিক ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ত্রিকুতা। রত্নাকর সাগর এবং তাঁর স্ত্রী বিয়ের পর নিঃসন্তান ছিলেন। দীর্ঘদিন সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা । অবশেষে তাঁদের কোলে জন্ম নেয় এক কন্যাসন্তান। এই কন্যাসন্তানের জন্মের পরেই তাঁরা শপথ নিয়েছিলেন যে সন্তানের ভবিষ্যতের উপর কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবেন না তাঁরা। পরবর্তীকালে এই কন্যাসন্তান বৈষ্ণোদেবী নামে পরিচিত হয় সকলের কাছে। মাত্র নয় বছর বয়সে সে রাম ও বিষ্ণুকে তুষ্ট করার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করে যান। অবশেষে ভগবান শ্রী রাম ও বিষ্ণু দুজনেই সন্তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ করেন বৈষ্ণোদেবী কে।

ত্রিকুতাটে রামের নির্দেশে একটি গুহার মধ্যে থাকতে শুরু করেন বৈষ্ণোদেবী এবং সেখানে তাঁর নিরাপত্তার জন্য শ্রীরাম একটি সিংহ ,হনুমান ও তীর-ধনুক দেন। এরপর থেকেই বৈষ্ণোদেবী ওই মন্দিরে থাকতে শুরু করেন,যা পরবর্তীকালে মাতা বৈষ্ণোদেবী নামে পূজিত হয়। তবে কিভাবে তিনি এই দুর্গম স্থানে থাকতে শুরু করেছিলেন তা নিয়ে আজও পর্যন্ত রহস্য রয়েছে। বৈষ্ণব দেবী পুজোর কারণেই নয় দিন ধরে নবরাত্রি পালন করা হয় দেশজুড়ে। আর এই কথাও প্রচলিত আছে যে মাতা বৈষ্ণোদেবী কলি যুগের সময়কে নিজের সন্তানের মতো রক্ষা করেছিলেন।

কীভাবে তৈরি হয়েছিল সেই গুহা, যা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এই মন্দিরটি বিশ্বে সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান হিসাবেও পরিচিত। স্থানীয় ও ভক্তদের বিশ্বাস, এখনো পর্যন্ত এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে এক শক্তিশালী পজিটিভ এনার্জি। এই মন্দিরের মধ্যে রয়েছে তিনটি গুহা। তবে এই মন্দির গুলির মধ্যে একটি গুহা বছরে বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকে। শুধুমাত্র ভক্তদের জন্য এই গুহা সব সময় খোলা থাকে। কথিত আছে, সংকীর্ণ ও দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা পেরিয়ে বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরে একবার যিনি যান, দ্বিতীয়বারের জন্য ওই মন্দিরে যেতে চান না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এই পথে প্রতিটি মুহূর্তে রয়েছে মৃত্যুভয় পায়ে হেঁটে এই দুর্গম পথ অতিক্রম করে তারপর মন্দিরে দেবীর দর্শন পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: Raksha Bandhan: কোন কোন রাজ্যে রাখি উত্‍সব পালিত হয় না? কারণ জানলে তাজ্জব বনে যাবেন…

Next Article