রাহুর নাম শুনলেই ভয় পাই আমরা সকলে। মনে হয় জীবনে নেমে আসবে অন্ধকারের কালো ছায়া। হয়তো রাহুর প্রভাবে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে জীবনে। কিন্তু বিষয়টি সম্পূর্ণ সত্যি নয়। রাহু যে আমাদের জীবনে সব সময় খারাপ প্রভাব ফেলে এমনটা মোটেই নয়। বরং সঠিক উপায়ে রাহুকে সন্তুষ্ট করা যায়, তাহলে অসীম সাফল্যের অধিকারী হতে পারেন আপনি।
রাহু আসলে ভীষণতার প্রতীক। তাঁর নেতিবাচক শক্তির প্রভাবে যেমন ছাড়খার হতে পারে সংসার তেমনই ইতিবাচক শক্তির প্রভাবে নেমে আসবে সুখ-সমৃদ্ধি। রাহুর ইতিবাচক শক্তির প্রভাবে আমাদের জীবনে ফোকাস আসে, নিজের লক্ষ্য পৌছনোর নিরলস শক্তি পাওয়া যায়, সর্বোপরি সংগঠিত ভাবে কোনও কাজ করার শক্তি আসে।
তবে বাড়িতে নোংরা থাকলে রাহুর ইতিবাচক শক্তি লাভ করা সম্ভব নয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন, নিয়ম মেনে জীবন যাপন করলে রাহুর ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করা সম্ভব। আশেপাশে জঞ্জালের স্তুপ হয়ে থাকলে, হেলাগোছা হয়ে থাকলে রাহুর নেতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়ে। জীবনে বিশৃঙ্খলা, অলসতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে নিজের লক্ষ্যের প্রতি সঠিক পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করে রাহু।
কী ভাবে আকর্ষণ করবেন রাহুর ইতিবাচক শক্তিকে?
রাহুর ইতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করার জন্য কোনও টোটকা বা পুজোর প্রয়োজন নেই। কেবল আপনার চারপাশ, বাড়ি-ঘর, কাজের জায়গা পরিষ্কার রাখুন, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে জীবন যাপন করুন। তাহ্লেই দেখবেন রাহুর ইতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়বে আপনার উপরেও। সর্বোপরি নিজের চারপাশ পরিষ্কার রাখলে রাহুর সঙ্গে সঙ্গেই সন্তুষ্ট হন শুক্র। তাঁর আশির্বাদ ঝড়ে পড়ে আপনার জীবনে।