ভারতীয়দের কাছে রাখি বন্ধন হয় একটি পবিত্র উৎসব। জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িকতা মেটাতে কবিগুরু রাখি বন্ধন প্রচলন করলেও এর পিছনে রয়েছে কিছু পৌরাণিক কাহিনি । প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমার দিন পালিত হয় ভাইবোনের স্বর্গীয় সম্পর্কের মিলন উত্সব । ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব, মানুষের প্রতি মানুষের গভীর ভালোবাসার অন্যতম প্রতীক হল এই পবিত্র উত্সব । আগামী ২২ অগস্ট, এ বছর পালিত হবে রাখি বন্ধন উৎসব।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় ৩০ আশ্বিন রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। তিন সাম্প্রদায়িকতা মেটাতে রবীন্দ্রনাথ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে রাখি বন্ধন উৎসব প্রচলন করেন।এখন অবশ্য জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন ধরনের রাখি উৎসব পালন করা হয় ,সেটা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে।
রাখি পূর্ণিমাতে কি করবেন?
১. রাখি বন্ধনের দিন, প্রথম বোনকে সূর্যোদয়ের আগে স্নান করার নিয়ম। এর পরে, পরিষ্কার এবং নতুন পোশাক পরা উচিত।
২. গৃহের ইষ্টদেবতার পুজো করার পাশাপাশি রাখীকেও পুজো করতে হয়।
৩. পূর্বপুরুষদের স্মরণ করুন ও আপনার গুরুজনদের আশীর্বাদ নিন।
৪. রাখির জন্য সিল্ক বা রঙিন সুতোর ফিতে নিন।
৫. রাখি পূজার পর, আপনার ভাইয়ের কপালে তিলক করুন। তিলক করার জন্য কুমকুম ব্যবহার করুন।
৬ ভাইয়ের কপালে তিলক করার পর অবশ্যই টিকাতে অক্ষত লাগান।
৭. ভাইয়ের হাতে রাখি পরানোর সময় ‘ওঁ ত্রায়ুষম জমদগ্রে: কশ্যপস্য ত্রায়ুষম ৷ য়হেবেষু ত্রায়ুষম তন্ত্রো অস্তু ত্রায়ুষম ৷৷’এই মন্ত্রের জপ করা উচিত।
৮. ভাইয়ের ডান হাতে রাখি বাঁধার পর ভাইযকে মিষ্টি খাওয়ান।
৯. ভাই ছোট হলে অবশ্যই বোনের পা স্পর্শ করে আর্শীবাদ নেওয়া উচিত, যদি বোন ছোট হয়, তাহলে ভাইয়ের পা স্পর্শ করে প্রণাম করা উচিত।
আরও পড়ুন: Raksha Bandhan: এদিন হনুমান ও গণেশকেও রাখি বাঁধা হয়? কেন জানেন?