Evil Eye Tips: কুনজর এড়াতে ‘এভিল আই’ কি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী?

Spirituality: শাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয় যে, আমাদের চারপাশে কিছু শক্তি জীবনের সবচয়ে দরকারি জিনিসগুলিকে নষ্ট করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। একেই বলে কুনজর পড়া। আর এই কুনজর থেকে রেহাই পেতেই নীল চোখের এভিল আই ধারণ অনেকে। তবে শুধু এভিল আই লকেট, ব্রেসলেট পরলেই চলবে না, দরকার বেশ কিছু জিনিস, যা এই এভিল আই প্রতীকের থেকেও শক্তিশালী। লৌকিক হলেও কুনজর এড়াতে কী কী করা হয়, তা জানেন?

Evil Eye Tips: কুনজর এড়াতে এভিল আই কি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী?

| Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 22, 2023 | 9:30 AM

বাইরে বের হওয়ার আগে শিশুর কপালে বড় করে কাজলের টিপ পরিয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসার ক্ষতি এড়াতে দোকানের সামনে লেবু ও লঙ্কার মালা ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিশোরীদের হাতে নোয়া পরিয়ে দেওয়া হয় কুনজর ও আত্মরক্ষার খাতিরে, আবার শরীর সুস্থ রাখতে নানারকম কবজ ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। এই কুনজর এড়ানোর জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ড হল এভিল আইয়ের চোখ। সোনার অলঙ্কার থেকে করে সোশ্যাল মিডিয়া ইমোজি , সবেতেই এভিল আইয়ের ব্যবহার তুঙ্গে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে অশুভ দৃষ্টিকে এক ধরণের নেতিবাচক শক্তি বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে ঘরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সদস্যদের উপর বেশ কিছু খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কুদৃষ্টি প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে বলে মনে করা হয়। অপরের কুনজরের জন্য শিশুদের শরীর ও পড়াশোনা উপর বড্ড বেশি ক্ষতি করে বলে মনে করা হয়।  এছাড়া ব্যবসা ও চাকরিক্ষেত্রে সমস্যা থেকে রেহাই পেতে  এভিল আই ধারণ করেন অনেকে। শাস্ত্র এবং জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মনে করা হয় যে, আমাদের চারপাশে কিছু শক্তি জীবনের সবচয়ে দরকারি জিনিসগুলিকে নষ্ট করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। একেই বলে কুনজর পড়া। আর এই কুনজর থেকে রেহাই পেতেই নীল চোখের এভিল আই ধারণ অনেকে। তবে শুধু এভিল আই লকেট, ব্রেসলেট পরলেই চলবে না, দরকার বেশ কিছু জিনিস, যা এই এভিল আই প্রতীকের থেকেও শক্তিশালী । লৌকিক হলেও কুনজর এড়াতে কী কী করা হয়, তা জানেন?

– লাল লঙ্কার প্রতিকারের জন্য, সাতটি শুকনো লাল লঙ্কা নিতে হবে । এবার চোখ বন্ধ করে শিশুর মাথার উপর ঘড়ির কাঁটার দিকে সাতবার ঘোরাতে হবে। কুনজরের প্রভাব দূর করার কথা মনে মনে ভাবুন। এরপর ওই লাল লঙ্কা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত । কারণ এর মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি যেন এই পুরো প্রক্রিয়াটি দেখতে না পান।

-শিশুকে কুনজর থেকে দূরে রাখতে এক হাতে এক মুঠো সরষে ও এক চামচ নুন নিতে হবে।  তারপরে এই দুটি জিনিস শিশুর মাথার উপর সাতবার ঘোরাতে হবে। এগুলি বাড়ির বাইরে রাখা উচিত। বাগান থাকলে সেখানে রাখতে পারেন।

-সরষের তেলের প্রতিকারও খুব কার্যকর। প্রথমে তুলোর একটি লম্বা সলতে তৈরি করতে হবে। তারপরে এটি সম্পূর্ণভাবে সরষেরর তেলে ডুবিয়ে রেখে সলতেটাকে সন্তানের মাথার উপর ঘড়ির কাঁটার দিকে সাতবার ঘুরিয়ে নিতে হবে। দেশলাইয়ের আগুন দিয়ে সলতে জ্বালিয়ে গোটাটাই পুড়িয়ে দিন।

-অশুভ দৃষ্টির প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে মুষ্টিতে নুন নিয়ে প্রিয় দেবতার মন্ত্র পাঠ করার সময় শিশুর মাথায় সাতবার ঘুরিয়ে নিতে হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি করুন চোখ বন্ধ করে। বাড়ির বাইরের দিকে প্রবাহিত জলে নুন যেতে দিন।

-কুদৃষ্টি দূর করার জন্য, শিশুকে সোজা করে শুয়ে মুঠিতে ফিটকিরি নিয়ে শিশুর মাথা থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত সাতবার ঘুরিয়ে দিন। পরে এই ফটকিরিটি আগুনে পুরিয়ে দিন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই ফটকিরি পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্তানের অশুভ নজরও দূরে চলে যায়।

– লেবুর প্রতিকার খুব জনপ্রিয়। একটি অর্ধেক কাটা লেবুতে সাতটি লবঙ্গ পুঁতে দিন।তারপর সেটিকে সন্তানের মাথায় সাতবার ঘুরিয়ে দিন বাড়ির বাইরে ফেলে দিন। এমন একটি জায়গা বেছে নেওয়া উচিত যেখানে কেউ সেখানে পা দিতে পারবেন না। মঙ্গলবার বা রবিবার এই প্রতিকার করা উচিত নয়।