
গাড়ির ধাক্কা বা ল্যাম্পপোস্টের বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে বহু পাখি আহত হয়, এমনি মারাও যায়। তার মধ্যে কাক অন্যতম। অনেকেই মনে করেন মরা কাক দেখা অশুভ। রাস্তায় হাঁটাচলার সময় বিড়াল রাস্তা পারাপার করলে তা বিপদসঙ্কেত বলে মনে করা হয়। তাই বিড়াল চলাচলকে অনেকেই অশুভ বলে মনে করেন। এক শালিক দেখাও অশুভ বলে মানেন। অনেকে এটিকে কুসংস্কার বলে মনে করেন, কিন্তু এর পিছনে রয়েছে জ্যোতিষ গুণ। হিন্দু ধর্মে জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে অনেক ধরণের ঘটনা বা বিপদ বোঝার জন্য বেশ কিছু লক্ষণগুলি জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষণগুলি আগামী ভবিষ্যত সম্পর্কে সতর্ক করে তোলে। তাই এগুলি কুসংস্কার বলে মনে করলেও রয়েছে বেশ কিছু কারণ। এই বিপদসঙ্কেতগুলি প্রদর্শন করে পশু-পাখি। সনাতন ধর্মে পশু-পাখিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যদি রাস্তার ধারে বা রাস্তার মাঝখানে মৃত কাক দেখতে পাওয়া কি অশুভ লক্ষণ? নাকি শুভ লক্ষণ?
বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সময় যদি পথের ধারে বা মাঝখানে মৃত কাক দেখতে পান, তাহলে শুভ ও অশুভ লক্ষণের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। হিন্দু ধর্মে কাককে পূর্বপুরুষ হিসেবে পুজো করা হয়। মনে করা হয়, পূর্বপুরুষরা কাকের আকারে বাড়িতে ও উঠানে এসে খাবার নিয়ে যান। একই সময়ে, ন্যায়ের দেবতা শনিদেবের বাহন হিসেবেও মনে করা হয়, তাই আপনি যদি একটি কাক দেখতে পান তবে এর শুভ এবং অশুভ উভয় অর্থই রয়েছে।
রাস্তায় মৃত কাক দেখা
যদি রাস্তার কোথাও একটি মৃত কাক দেখতে পান তাহলে তা অশুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ কাকদের পূর্বপুরুষ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই মৃত কাক দেখার অর্থ হল পূর্বপুরুষরা আপনার উপর খুব রেগে রয়েছেন।
কাকের বিভিন্ন কার্যকলাপ থেকে ভবিষ্যত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। যদি রাস্তায় একটি মৃত কাক দেখেন, তাহলে তার ইঙ্গিত হল, অদূর ভবিষ্যতে আপনার জীবনে কোনও সংকট বা মারাত্মক কোনও ঘটনা ধেয়ে আসতে চলেছে। পরিবারের যেকোনও সদস্যকে একটি বড় রোগের শিকার হওয়ার আগাম সঙ্কেত বার্তা দেয়। কারওর মৃত্যুর লক্ষণ হিসেবেও দেখা হয়।
মরা কাকও শনিদেবের ক্রোধ প্রকাশ করে। তাই এর মাধ্যমে শনি দোষ নির্দেশ করে।