
সামনেই কালীপুজো (Kali Puja 2023)। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর পর যে অমাবস্যা আসে, সেদিন অশুভ শক্তিকে দূর করতে মা কালীর (Goddess Kali) আরাধনা করা হয়। ধর্মীয় মতে, মা কালীর রূপ খুব বিপজ্জনক। তবে যতই রুদ্র হোক না কেন, সেই রূপও ভক্তদের জন্য শুভ। শাক্ত বাঙালিদের কাছে কালীর আরাধনা অত্যন্ত গুরুত্ব পায়। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে কালী চৌদাসও পালিত হয়। একে অনেকেই ছোটি কালীপুজো বা ছোটি দিওয়ালিও বলে থাকেন।
এছাড়া এই বিশেষ তিথি নরক চতুর্দশীও পালিত হয়। বিভিন্ন পুরাণ, শাস্ত্রের তথ্য অনুযায়ী, মহামায়ার অন্য একটি রূপ হল কালী। প্রাচীন গ্রন্থেও কালীর এই দানবীর রূপের উল্লেখ রয়েছে। কথিত আছে, শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই দৈত্যকে বধ করার জন্য দেবী পার্বতী কালীর রুদ্র রূপ ধারণ করেছিলেন। মনে করা হয়, কালীর ভক্তরা এদিন আরাধনা করলে সবধরনের ভয়, ভীতি ও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পুরাণে দেবী কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা উল্লেখ রয়েেছে। দক্ষিণা কালী, শ্মশান কালী, ভদ্রকালী, রক্ষাকালী ,গ্রহ কালী, চামুণ্ডা, ছিন্নমস্তা নামেও কালীর পুজো করা হয়ে থাকে। মহাকাল সংহিতা অনুসারে, কালীর আবার নব রূপেরও উল্লেখ রয়েছে। কাল কালী, কঙ্কাল কালী, চিকা কালী বিভিন্ন নামে কালীর রূপের পরিচয় পাওয়া যায়। সাধারণত দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে দেবী কালীর বিশেষ আরাধনা করা হয়। কিন্তু দীপাবলি বা কালীপুজোর আগের দিনটিকে ছোটি দীপাবলি বলা হয়। এবছর কালীপুজো পড়েছে আগামী ১১ নভেম্বর।
কালরাত্রি পুজোর মন্ত্র
দেবী কালীকে তুষ্ট করতে ও আশীর্বাদ পেতে এদিন একটি বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ করা দরকার। তন্ত্রমতে কালীর আরাধনা করার নিয়ম রয়েছে। এদিন লাল চন্দনের জপমালা পরে মন্ত্র উচ্চারণ পড়া উচিত। এই অবস্থায় কালরাত্রির পুজোর সময় কোন মন্ত্র উচ্চারণ করা সবচেয়ে শুভ, তা জেনে নিন। আখেরে লাভবান হবেন আপনিই।
ওম জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী।
দুর্গাক্ষমা শিব ধত্রি স্বাহা স্বধা নমোস্তু তে।।