
ভাদ্র মাসের প্রথম অমাবস্যাকে ঘিরে রয়েছে নানা ধরনের প্রথা, পৌরাণিক কাহিনি। হিন্দুশাস্ত্র মতে, এদিন তন্ত্রসাধনার বিভিন্ন দিকগুলি খুলে যায়ও সিদ্ধিলাভ করা সম্ভব হয়। তারাপীঠকে নিয়ে রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনি ও আচার-নিয়ম। কথিত আছে, এদিন তন্ত্রসাধনার মাধ্যমে গুপ্ত সাধনাক বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। এদিন বিশেষ একটি মুহূর্তে স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে যায়। তাই এই অমাবস্যা সাধু-সন্ন্যাসীদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সাধারণের কাছেও সমান অপরিহার্য। এদিন বেশ কিছু সহজ টোটকা বা প্রতিকার মেনে চললে মনের বাসনা যেমন পূরণ হয়, তেমনি কার্যসিদ্ধিও ঘটে। বড় ইচ্ছে পূরণের টোটকা বা প্রতিকার কী কী মেনে চলবেন, জানাচ্ছেন ট্যারট কার্ড রিডার, হিলার সাঁঝবাতি রায়।
– যাঁরা মনে করেন তাঁদের চারিপাশে শত্রুরা ভিড় করে রয়েছে, ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে যদি শত্রু থাকে, তাহলে এদিন রাত ৯টার পর একটি পাতিলেবুর গায়ে পেরেক দিয়ে সাতটি ফুটো করুন। এবার সাতটি ফুটোর মধ্যে সাতটি লবঙ্গ পুঁতে দিতে হবে। এবার এই লবঙ্গের উপর সিঁদুর ছড়িয়ে দিন। এবার শত্রুকে যদি চিনে থাকেন, তাহলে তার নাম উচ্চারণ করুন। আর যদি নাম না জানা থাকে, তাহলে শত্রুর সুবুদ্ধি ও শত্রুতা বিনাশ করতে এই লবঙ্গ পোঁতা লেবুটি কালীমূর্তির কাছে রেখে দিন। পরের দিন বাইরে নিয়ে গিয়ে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে। এই প্রতিকারে শত্রুদের বিনাস হবেই হবে।
– কার্যসিদ্ধি করতে বা রক্ষাকবচ হাতের মুঠোয় রাখতে কৌশিকী অমাবস্যার পুজোর দিন লাল জবা নিন। এবার তাতে সিঁদুরের প্রলেপ দিতে দিতে নিজের মনোষ্কামনা প্রকাশ করুন। এবার ওই জবা ফুল বাড়ির বা মন্দিরের কালী মূর্তির কাছে সারারাত রেখে দিতে হবে। পরের দিন সকালে বা দুপুরে একটি লাল চেলির মধ্যে জবা ফুলটি পুঁটলি করে লাল ধাগা দিয়ে বেঁধে রাখুন। ইন্টারভিউ বা যে কোনও পরীক্ষা, কোনও কাজে সাফল্য পেতে এই প্রতিকার মেনে চলুন।
বড় ইচ্ছে পূরণের টোটকা:
– কৌশিকী অমাবস্যার দিন সূর্য অস্তের পর গোটা ১৬টি গোলমরিচ নিতে হবে। দেবী কালীর ছবি বা মূর্তির সামনে একটা তামার বাটি বা পাত্রে ১১টি গোলমরিচ রাখতে হবে। সরষের তেলের প্রদীপ ধরাতে হবে। বাকি ৫টি গোলমরিচ ওই প্রদীপের তেলে দিতে হবে। তারপর মাথা নিচু করে মহাকালীকে প্রণাম করে মনের ইচ্ছেটে জানাতে পারেন। তারপর গুহ্য কালী মায়ের পঞ্চদশাক্ষর মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করতে হবে।
হূঁ হ্রীং গুহ্যে কালিকে ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হ্রীং হ্রীং স্বাহা।
এরপর দিন থেকে এই মন্ত্র রোজ ২৮ বার জপ করতে হবে।
ইচ্ছেপূরণ হয়ে গেলে পরের বছর কৌশিকী অমাবস্যার দিন ১০৮টি জবা ফুল দিয়ে তৈরি একটি মালা আর ৫ রকমের ফল দিয়ে পুজো দিয়ে আসতে হবে আর কোনও ৫ জন গরীব দুঃখীকে টাকা বা তার প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সাহায্য অবশ্যই করতে হবে।