
সোনা কে না ভালবাসে বলুন। বিশেষ করে ভারতীয়দের মধ্যে সোনা কেনার চল একটু বেশিই। তার নানা কারণ রয়েছে। একদিকে যেমন গয়না পরার জন্য অন্যদিকে তেমনই বিনিয়গের জন্য সোনা কেনার চল রয়েছে। গয়না কেনার ক্ষেত্রে একেক জনের একেক রকম পছন্দ। কেউ ভারী তো কেউ আবার হালকা গয়না পছন্দ করেন। যদিও জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে একদম অন্য কথা। জ্যোতিষ মতে কিছু নিয়ম মেনে চললে বিভিন্ন সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কী সেই নিয়ম?
১। সোনাকে বৃহস্পতির কারক ধাতু বলে মনে করা হয়। সোনা হাতে পরলে তৃতীয় স্থানে বৃহস্পতি সক্রিয় ভুমিকা পালন করে। বালা হোক বা আংটি, একই রকম ফল দান করে।
২। অন্য কোনও ধাতুর সঙ্গে সোনা পরলে বৃহস্পতির প্রভাব বিনষ্ট হয়।
৩। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাঁ হাতে সোনা পরতে নেই। এতে নানা প্রকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪। কোমরে সোনা পরা উচিত নয়, এর ফলে দেহের পাচনতন্ত্রের ক্ষতি হয়।
৫। পায়ে কখনও সোনা ধারণ করতে নেই, এর ফলে বৃহস্পতি গ্রহের ভাল ফল পাওয়া যায় না। এ ছাড়া সোনা পায়ে ধারণ করলে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।
৬। শনি গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনও ব্যবসা করলে সোনা ধারণ করা উচিত নয়।
৭। মেষ, কর্কট, সিংহ এবং ধনু রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে সোনার গহনা ভাল ফল দেয়।
৮। বৃষ, মিথুন, কন্যা এবং কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য সোনা শুভ বলে মানা হয় না।
৯। বৃশ্চিক ও মীন রাশি্র জাতকদের জন্য সোনা মাঝারি ফল প্রদান করে।
১০। তুলা এবং মকর রাশির ক্ষেত্রে সোনা যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই মঙ্গল।
১১। যে জাতকের জন্মছকে বৃহস্পতির স্থান দুর্বল, তাঁদের সোনা ধারণ করা উচিত নয়।