Nazar Dosh: শত্রুর খারাপ নজরের কি শিকার হচ্ছেন? কোন পথে মিলবে মুক্তি, জানুন কৌশল

আপনি কি কারোর বাজে নজরের শিকার হয়েছেন? অনেকসময় বলা হয়, শিশুরা সবচেয়ে বেশি কুনজরের প্রকোপে পড়েন। কুনজরে পড়লে শিশুরা সবসময় অসুস্থ হয়ে পড়ে, মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সবশেষে পরিণতি কখনও ভাল কিছু হয় না। প্রায়শই বহু মানুষের কাছ থেকে শুনে থাকবেন খারাপ নজরের কারণে কাজ পণ্ড হয়ে গিয়েছে। আরা কুনজরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে কোনও ছোট্ট শিশু। এই অবস্থায় কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে কুদৃষ্টির প্রভাব অনেকটা কমে যায়। এর থেকে মুক্তি পেলে জীবনে শান্তি নেমে আসে। তবে অধিকাংশের মনে প্রশ্ন থাকে এই কুনজর কী? কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, তাক উত্তর অনেকের কাছে জানা নেই।

কুনজর কী?

আমাদের চারপাশে অনেক ধরণের শক্তি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ইতিবাচক, কিছু নেতিবাচক এবং কিছু নিষ্ক্রিয়ভাবে ঘোরাফেরা করে। এই শক্তি আমাদের আচরণ, চিন্তা এবং কর্মের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এগুলোকে ভাইব্রেশন বা তরঙ্গও বলা হয়। এ ধরনের শক্তির মধ্যে থেকে যখন নেতিবাচক শক্তি কারোর ওপর আধিপত্য বিস্তার করে, তখন তাকে সাধারণ ভাষায় ‘নজর’ বলে।

নজরে লাগলে কী কী হতে পারে?

বিশ্বাস করা হয় যে অশুভ দৃষ্টির কারণে একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য, চিন্তাভাবনা এবং উন্নতিতে বাধা চলে আসে। যে কোনও ধরণের শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হই, সেইভাবেই তেমন আচরণ করতে শুরু করেন মানুষজন।

কৌশল

– খারাপ নজর থেকে গৃহ বাঁচাতে, প্রতিদিন পুজোর ঘর ও মন্দিরের স্থান পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। পরিষ্কার করেই কাজ শেষ হয় না, একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির বাইরে একটি স্বস্তিক তৈরি করুন। এর কারণে ঘরে কখনও নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না।

– যে কোনও কাজকে খারাপ নজর থেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে বাম হাতের মধ্য আঙুলে একটি লোহার আংটি পরুন। তবে পরার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ বা জ্যোতিষবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

– ব্যবসা যারা করেন, সেখানেও মন্দা দেখা যায়। সেই মন্দার কারণের পেছনে এই নজর লাগাও দায়ী। ব্যবসাকে খারাপ নজর থেকে রক্ষা করতে অফিসে লাল রঙের হনুমান জিকে স্থাপন করুন। প্রতিদিন পূজা করুন।

– যদি একজনের খারাপ নজর পড়ে তবে নিজের চুল কেটে ফেলুন। লংকার কয়েকটি বীজ চিবিয়ে নিন। চন্দনের সুগন্ধি ব্যবহার করুন।

(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)