ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে চৈত্র মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই সময়টি নতুন বছর শুরুর জন্যও পরিচিত। এর পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এই মাসেই হিন্দু নববর্ষ শুরু হয়, তাই নবরাত্রি ও গুড়িপাড়োয়ার পাশাপাশি অনেক বড় উৎসবও পালিত হয় এই সময়। এমন সময়ে সংক্রমণজনিত রোগগুলিকে আরও মারাত্মক বেড়ে যায়। তাই প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন উপায় মেনে চলা হয়। এই সময়ে পরিবেশে তাপ বৃদ্ধির কারণে সংক্রামক রোগগুলি বৃদ্ধি পায়। বসন্ত রোগের প্রকোপও বেড়ে যায় এই সময়। তাই দেবী শীতলাও পূজা করা হয় যাতে এই ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই মাসে কী করা উচিত ও কী করা উচিত নয় তা জেনে নেওয়া উচিত, তাতে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য খুবই কার্যকরী ।
নিম পাতার প্রতিকার
– এ সময় নিমের ব্যবহার খুবই ভালো বলে মনে করা হয়। আয়ুর্বেদে নিম পাতাকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলা হয়েছে। এতে করে পেটের রোগ দূরে থাকবে। এর পাশাপাশি নিম সংক্রমণজনিত রোগ থেকেও রক্ষা করে। চৈত্র মাসে নিমের সঙ্গে মিছরি বা গুড় খাওয়াও উপকারী। সেই কারণেই গুড়িপাড়োয়ার সময় নিম চিবিয়ে খাওয়া হয়, সঙ্গে গুড়ও গ্রহণ করা হয়।
লবণ ও দুধ বর্জন
চৈত্র মাসে, যতটা সম্ভব দুধ খাওয়া কমাতে বলা হয়, তার পরিবর্তে, আপনি চিনি-মিছরির সঙ্গে তাজা দই খেতে পারেন। দই ও চিনির মিছরি খাওয়া মানেই রাশিতে চন্দ্রের অবস্থানকে শক্তিশালী করে। পেট ও শরীরকে শীতল করে। চৈত্র মাসে কিছু সময় লবণ কম খাওয়ার কথা বলা হয়। যদি লবণ ত্যাগ করা কঠিন হয় তবে সন্ধক লবণ গ্রহণ করতে পারেন।এমনটা করলে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শুভ ফল পাওয়া যায়, অন্যদিকে যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী তাদের জন্য কয়েকদিন লবণ এড়িয়ে চলুন, তাহলে রোগ নিরাময় হবে দ্রুত।
– ঘরে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধিতে চৈত্র মাসে প্রতিদিন ধুনো, কর্পূর এবং নিম একসঙ্গে জ্বালান। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় ও সমস্ত ধরণের অশুভ প্রভাবের অবসান ঘটে।
– এই ছোট ছোট ব্যবস্থা নিলে অনেক ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে জীবনে শুভর প্রভাব বজায় থাকে।