
কানে বা নাকে অস্বাভাবিক হারে চুল গজানো অনেকের ক্ষেত্রেই একটি অদ্ভুত ও অস্বস্তিকর হতে পারে। কেউ আবার এটিকে পুরুষের অহংকার বলেন। কিন্তু আসলে এটি কীসের লক্ষণ? সমুদ্রশাস্ত্র কী বলছে? নাকে বা কানে বেশি লোম থাকে কাদের জানেন?
সমুদ্রশাস্ত্র, অনুসারে যাঁদের নাকে ঘন ও শক্ত চুল গজায়, তাঁরা সাধারণ নারীর থেকে একটু আলাদা চরিত্রের হয়। এঁরা প্রচন্ড সাহসী হয়, এঁরা অসীম ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হন। তবে অনেক ক্ষেত্রে এরা গোঁয়ার প্রকৃতির হয় বলেও মনে করা হয়।
অন্যুদিকে সমুদ্রশাস্ত্রে কানে বেশি চুল হয় যাঁদের কানে চুল বেশি, তাঁরা সাধারণত দীর্ঘায়ু হন। এঁদের আর্থিক ভাগ্য ভাল হয়। তবে এঁরা কিছুটা গম্ভীর ও অন্তর্মুখী স্বভাবেরও হতে পারেন।
যদিও চিকিৎসাশাস্ত্রে এই সব ব্যাখ্যার খুব একটা দাম নেই। বরং বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন হরমোনের তারতম্যের কারণে এটা হতে পারে। নাকে ও কানে অতিরিক্ত চুল গজানোর অন্যতম প্রধান কারণ অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য। এই হরমোন পুরুষদের শরীরে বেশি থাকে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এদের প্রভাবও আরও বৃদ্ধি পায়।
অনেক সময় বয়সজনিত পরিবর্তনের কারণে এমনটা ঘটতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে নাক ও কানের চুল ঘন হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষত ৫০ বছরের পর এটি স্বাভাবিক হলেও কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চুল অস্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে।
তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি নাক-কানে বা মুখে পুরুষদের মতো চুল গজাতে শুরু করে, তবে তা হতে পারে হরমোনজনিত রোগের লক্ষণ। এমন কিছু ঘটলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারে যদি কারও এমন বৈশিষ্ট্য থাকে, তবে উত্তরসূরির ক্ষেত্রেও তা দেখা যেতে পারে।
অনেকে আবার এই চুলের গ্রোথ কমানোর জন্য নিয়মিত গুছিয়ে এই চুল কাটেন বা ট্রিমি করেন। তবে মনে রাখবেন এই সব কাজে রেজার ব্যবহার না করাই ভাল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যদি হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে চুল গজাতে শুরু করে, তাহলে হরমোন পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। তবে তা অভিজ্ঞ কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই। আয়ুর্বেদ মতে, তেলে ভেজানো তুলো দিয়ে কানের যত্ন নিলে চুলের বৃদ্ধিও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।