Kojagari Lakshmi Puja: লক্ষ্মীপুজোয় গ্রহণের ছায়া! সংসারে শ্রীবৃদ্ধিতে ভুলেও এই কাজ করবেন না

Hindu Rituals: জ্যোতিষশাস্ত্র মতে,লক্ষ্মীপুজোর দিনই পালিত হবে বছরের শেষ ও দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ। ফলে বাঙালির পবিত্র এই পুজোয় গ্রহণের ছায়া পড়তে চলেছে। ভারত থেকেও দেখা যাবে এবারের গ্রহণ। ফলে ভারতে যে সূতক সময় পালিত হবে, তা বলাই বাহুল্য। এছাড়া এই বিশেষ তিথিতে সত্য-নারায়ণের পুজোও করে থাকেন অনেকে।

Kojagari Lakshmi Puja: লক্ষ্মীপুজোয় গ্রহণের ছায়া! সংসারে শ্রীবৃদ্ধিতে ভুলেও এই কাজ করবেন না

| Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 28, 2023 | 6:53 AM

রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই যে পূর্ণিমা পড়ে, সেই আশ্বিন মাসের শেষে শুভ তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা পালন করা হয়। এদিন বাঙালির ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর বন্দনা করা হয়। হিন্দুমতে, ধনসম্পত্তির দেবী হলেন লক্ষ্মী। তাই তাঁর আরাধনায় সব নিয়ম পালন করে আয়োজন করা হয়। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো বাঙালির কাছে একটি বিশেষ মর্যাদা ও ঐতিহ্যের পুজো। কোজাগরী কথার অর্থ হল, সারারাত জেগে লক্ষ্মীর আরাধনা করাই এই পুজোর বিশেষত্ব। ভরা পূর্ণিমার দিনে যে ভক্ত রাত জেগে লক্ষ্মীর বন্দনা করেন, তাঁর ঘরে অবস্থান করেন মহালক্ষ্মী।

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে,লক্ষ্মীপুজোর দিনই পালিত হবে বছরের শেষ ও দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ। ফলে বাঙালির পবিত্র এই পুজোয় গ্রহণের ছায়া পড়তে চলেছে। ভারত থেকেও দেখা যাবে এবারের গ্রহণ। ফলে ভারতে যে সূতক সময় পালিত হবে, তা বলাই বাহুল্য। এছাড়া এই বিশেষ তিথিতে সত্যনারায়ণের পুজোও করে থাকেন অনেকে। কেউ কেউ মূর্তি পূজা করে থাকেন, আবার কেউ কেউ ঘট বা পট রেখেও লক্ষ্মীপুজো করে থাকেন। কিন্তু এদিন গ্রহণের ছায়া কাটিয়ে উঠতে ও সংসারে শ্রীবৃদ্ধি দ্বিগুণ করতে কোন কোন কাজ ভুলেও করবেন না তা জেনে নিন এখানে…

১. লক্ষ্মীপুজোর দিন গঙ্গাস্নান করে নিজেকে শুদ্ধ করা উচিত। এদিন পূর্ণিমার রাত জেগে মহালক্ষ্মীর অপেক্ষা থাকা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। তবে শরীর বুঝেই রাতজাগার পরিকল্পনা করতে পারেন।

২. লক্ষ্মীপুজোয় কড়ি রাখতে যেন ভুলবেন না। পট, ঘট বা লক্ষ্মী প্রতিমার কাছে ধানের শীষ রাখা অবশ্যই উচিত। ধানের শীষ ছাড়া লক্ষ্মী পুজোই অসম্পূর্ণ থাকে।

৩. লক্ষ্মীদেবী অত্যন্ত প্রিয় ফুল হল তিলের ফুল। তাই এই ফুল রাখা অবশ্যই উচিত। তিলের ফুল বর্তমান সময়ে অত্যন্ত বিরল। ফলে এই বিশেষ ফুল না পেলে গাঁদা, জবা, গোলাপ, পদ্ম ফুল দিতে পারেন। তবে ভুলেও কখনও সাদা রঙের ফুল পুজোর সামগ্রীতে রাখবেন না। তাতে অসন্তুষ্ট হতে পারেন মহালক্ষ্মী।

৪. লক্ষ্মীপুজোয় তুলসী পাতা কখনও ব্যবহার করবেন না। এর পিছবে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি। তুলসীর সময় শালিগ্রাম শিলার সঙ্গে বিবাহ হয়। এই শালিগ্রাম শিলাকে নারায়ণ বলে মনে করা হয়। এদিকে বিষ্ণুর স্ত্রী হলেন লক্ষ্মীদেবী। তাই পুজোয় কখনও তুলসী পাতা ব্যবহার করা উচিত নয়।

৫. শারদ পূর্ণিমায় লক্ষ্মীপুজোয় তুলসী গাছের পাতা শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দুধর্মে তুলসী পাতা অত্যন্ত শুভ ও পবিত্র বলে মনে করা হয়। তাই গৃহস্থের তুলসী পাতা ব্যবহার করতে পারেন। লক্ষ্মীপুজোর শেষে ধূপ ও ফুল দিয়ে পুজো করলে ফল লাভ করতে পারেন।

৬. লক্ষ্মীপুজোর সময় ভুলেও লোহার তৈরি বাসনপত্র বা পাত্র ব্যবহার করা উচিত। লক্ষ্মীপুজোয় সাধারণত পেতল, কাণসা, মাটির পাত্র বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার করা উচিত।

৭. কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় দেবীকে সন্তুষ্ট করতে অবশ্যই চালের পায়েস বা ক্ষীর রান্না করে নৈবেদ্য হিসেবে নিবেদন করা উচিত। পায়েস নিবেদন করলে লক্ষ্মী অত্যন্ত খুশি হন। তাতে সংসারে শ্রীবৃদ্ধি হয় দ্বিগুণ। সৌভাগ্য ফেরে গৃহে। অন্যদিকে আর্থিক কষ্ট দূর হবে চিরতরে।

৮. লক্ষ্মীপুজোর দিন অবশ্যই লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া উচিত। পুজো বিশেষ আয়োজন না করলেও লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া উচিত। লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়লে চঞ্চলা দেবী স্থির হয়ে একজায়গায় বসে থাকেন।

৯. কোজাগরী বলে শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীপুজোয় কখনও কাঁসর-ঘণ্টা, ঢাক বা ঢোল বাজাবেন না। তাতে অসন্তুষ্ট হন দেবী। কারণ, লক্ষ্মী কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজ সহ্য করতে পারেন না।

১০. লক্ষ্মীপ্রতিমার সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে ১০৮ বার লক্ষ্মী মন্ত্র জপ করতে পারেন। তাতে সংসারে শ্রীবৃদ্ধি ঘটে দ্বিগুণ।