
হিন্দুধর্মে (Hinduism) শ্রীকৃষ্ণকে (Shree Krishna) ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করা হয়। প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর দিন (Janmashtami 2023) ধুমধাম করে কৃষ্ণের শৈশব রূপকে পুজো করেন ভক্তরা। তিথি মেনে সারা বিশ্বেই এই উত্সব বেশ জাঁকজমকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। তিথি মেনে সারা বিশ্বেই এই উত্সব বিষ্ণুদেবের অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা হয় এদিন। হিন্দুধর্ম মতে, পরম ঈশ্বর হিসেবে অনেক পৌরাণিক কাহিনি, লোককথায় শৈশব থেকেই একজন সর্বোত্তম সত্তা হিসেবে মনে করা হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মহা আড়ম্বরে প্রতি বছর জন্মাষ্টমী পালিত হয় ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এ দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। হিন্দি ক্যালেন্ডার অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি অর্থাৎ জন্মাষ্টমী তিথি আগামী ৬ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৩টে ৩৭ মিনিটে শুরু হতে চলেছে। এবছর জন্মাষ্টমী পালন করা হবে ২দিন ধরে। জন্মাষ্টমীর তিথি শেষ হবে পরের দিন অর্থাত্, ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যে ৪ টে ১৪ মিনিটে।
পুরাণ অনুসারে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রোহিণী নক্ষত্রে মধ্যরাতে ১২টায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই বিশ্বাস অনুসারে, ৬ সেপ্টেম্বরেই জন্মাষ্টমী পুজো ও উপোস করা উচিত। এদিনই সেরা সময়। শুধু তাই নয়, রোহিনী নক্ষত্রের পাশাপাশি এদিন অলৌকিক কাকতালীয় হতে চলেছে। বিরল যোগের কারণে এবারের জন্মাষ্টমী অত্যন্ত শুভ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, বৈষ্ণব ধর্ম যারা বিশ্বাস করেন, তারা ৭ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণের পুজো করে থাকবেন।
জন্মাষ্টমী পুজার শুভ সময়
ভগবান কৃষ্ণের উপাসনার শুভ সময় শুরু হবে ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত ১২টা ২ মিনিট থেকে ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। এভাবে পুজোর সময়কাল হবে মাত্র ৪৬ মিনিট। অন্যদিকে, জন্মাষ্টমীর উপবাসের সময় ৭ সেপ্টেম্বর, সকাল ৬টা ৯ মিনিট পরে।
প্রতি জন্মাষ্টমীতে রোহিণী নক্ষত্রের দেখা মেলে। কাহিনি অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণও রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন। রোহিণী নক্ষত্র ৬ সেপ্টেম্বর, সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.২৫ মিনিট পর্যন্ত।
জন্মাষ্টমী পুজোর পদ্ধতি
– এ দিনে শ্রী কৃষ্ণকে দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে অভিষেক করানো উচিত। এদিন নতুন রঙবেরঙের পোশাক পরানো হয়ে থাকে।
-এরপর ময়ূরের পালক, বাঁশি, মুকুট, চন্দন, তুলসী পাতা ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়।
-এরপর ফল, ফুল, মাখন, দই, চিনি, মিষ্টি, শুকনো ফল ইত্যাদি নিবেদন করা উচিত।
-বাড়িতে গোপালঠাকুরের অভিষেক করতে চাইলে দুধ, চিনি, দই, ঘি, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ করা উচিত।
-তারপর শ্রীকৃষ্ণের সামনে একটি প্রদীপ জ্বালাত হবে।
-শেষে, শ্রী কৃষ্ণের শৈশব রূপের মূর্তিকে আরতি করে ও নাম জপ করে সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করে দিন।