Sawan 2023: ত্রিশূল ও শনির সম্পর্ক গভীর! শ্রাবণ মাসে মহাদেবের পুজো করা হয় কেন, জানেন না অনেকেই
Lord Shiva: শ্রাবণ মাস হল শিবের মাস। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, শ্রাবণ মাসের শুধুমাত্র সোমবারই নয়, এই মাসের প্রতিটি দিনই অত্যন্ত শুভ। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় তিথিতে পালিত হয় হরিয়ালি তীজ। পারিবারিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এইদিনটি পালন করা হয়।

মহাদেব হলেন দেবতাদের দেবতা। ব্রহ্মাণ্ডের রক্ষাকর্তা। শুধু মহাদেব নয়, তাঁর পরিবারের শক্তি অপরিসীম। দেবী পার্বতী থেকে পুত্র-কন্যাদের রয়েছে অসীম ক্ষমতা। শাস্ত্র অনুসারে, শিব পরিবার হল নবগ্রেহর প্রতীক। আর পরিবারের মধ্যেই রয়েছে সব শক্তি উপাসাদের উত্স। মহাদেব হলেন সূর্যেরই আরেক রূপ। তাঁর জটায় অবস্থান করেন চন্দ্রদেব। অন্যদিকে কার্তিক নিজেই মঙ্গলের অধিপতি। গণেশ হলেন বুধের রাজকুমার। নন্দী হলেন গুরু। দেবী পার্বতী হলেন শুক্রের অধিকর্ত্রী। শিবের ত্রিশূল, জটা, নাগদেব, অলঙ্কারও এক একটি শক্তির আধার।
ন্যায়ের দেবতা শনির অধিষ্ঠান হল শিবের ত্রিশূলে। শাস্ত্র অনুসারে, শনি হলেন কর্মফলের দেবতা। কর্ম অনুযায়ী সকলকে শাস্তি দেন। অন্যদিকে সাপের মাথা হল রাহু আর সাপের লেজ হলেন কেতু। নাগদেবতা হল শিবের অলঙ্কার। এছাড়া গঙ্গা ও চন্দ্র যে স্থানে রয়েছে, তা হল জলের উপাদান। ত্রিশূল ও ডমরু বায়ুর উপাদান। ডমরু হল শব্দ ও বায়ুর উপাদান। ত্রিশূলও ধ্য়ান ও বায়ুর প্রতীক। মঙ্গল গ্রহের শক্তিশালী ভগবান কার্তিকের আগুনের উপাদান। নন্দী অর্থাত্ বৃষ হল পৃথিবীর উপাদান। অন্যদিকে, মহাদেব হলেন স্বয়ং আকাশের প্রতীক। আকাশের মধ্যে রয়েছে সমস্ত শক্তির আধার। তাই বলা হয়, গোটা ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত নিয়ম-কানুন যদি বদলানোর ক্ষমতা থাকে, তাহলে সেই কাজ করতে পারেন একমাত্র মহাদেবই। মহাকাল স্বয়ং যিনি মৃত্যুকে জয় করেছিলেন। তাই মার্কণ্ডেয় ঋষি ভগবান শিবের পুজো করা শুরু করেছিলেন। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য মহামৃত্যুঞ্জয় মহামন্ত্র উৎসর্গ করেছিলেন তিনি।
শ্রাবণ মাস হল শিবের মাস। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, শ্রাবণ মাসের শুধুমাত্র সোমবারই নয়, এই মাসের প্রতিটি দিনই অত্যন্ত শুভ। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় তিথিতে পালিত হয় হরিয়ালি তীজ। পারিবারিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে এইদিনটি পালন করা হয়। মহাদেব ও পার্বতীর পুনর্মিলনের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয় শ্রাবণ শিবরাত্রি। এইদিনে দেবী পার্বতী ও শিব, উভয়কেই বিশেষ রীতিতে পুজো করা হয়। বিশেষ করে অবিবাহিতরা উপযুক্ত স্বামী পাওয়ার আশায় মহাদেবের আরাধনা করেন।





