
শরীর তিল থাকা মানে তা সৌন্দর্যের একটি চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত ঠোঁটের কাছে, ভ্রুর কাছে তিল থাকলে তাকে বিউটি স্পট বলা হয়। মুখের বিভিন্ন অংশে তিল থাকলে আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। শুধু ঠোঁটে বা ভ্রুর কাছে নয়, কোমড়ে, গলায়, গোপনাঙ্গে, গালে, হাতে ওপায়েও তিল থাকে। আর এই তিলগুলির রয়েছে আলাদা ও বিশেষ অর্থ। সব তিলই শুভ বা সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, কিছু আবার অশুভও রয়েছে। মানুষের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এই তিল প্রত্যক্ষভাবে মিল রয়েছে। জ্য়োতিষবিদদের মতে, তিল দেখে একজনের ব্যক্তিত্ব বোঝা যায়।
সমুদ্র শাস্ত্রে, তিলের ভিত্তিতে মানুষের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। ঋষি সমুদ্র রচিত এই শাস্ত্রকে সমুদ্রশাস্ত্র বলা হয়। সমুদ্রশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে শরীরের বিভিন্ন অংশে গঠিত তিল অনেকেরই ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু বোঝা সক্ষম। শরীরে তিল থাকা একটি সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু সমুদ্রবিজ্ঞান অনুসারে, শরীরে উপস্থিত তিলগুলির একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে।যা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক ইঙ্গিত দেয়। শরীরের কোন কোন স্থানে তিল থাকলে শুভ লক্ষণ বোঝা যায়, তা দেখে নিন এখানে…
গালে তিল
সমুদ্রবিজ্ঞান অনুসারে, যদি কারওর ডান গালে তিল থাকে তবে তা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই স্থানে তিল থাকলে তিনি খুব ভাগ্যবান । এই ধরনের ব্যক্তিরা সময়ে সময়ে হাতে অর্থ পেতে থাকেন। অন্যদিকে, বাম গালে তিল থাকার অর্থ হল সেই ব্যক্তি খুব শৌখিন ও বিলাসপ্রিয়।
কপালে তিল
অনেকের কপালে তিল থাকে। সমুদ্রবিজ্ঞান অনুসারে, কপালে তিল থাকার একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। কপালে তিল থাকলে সম্পদ বৃদ্ধি ঘটে। কঠোর পরিশ্রমে সাফল্য পান হাতে-নাতে।
তালুতে তিল
খুব কম মানুষের হাতের তালুতে তিল দেখা যায়। কিন্তু যাদের হাতের তালুতে তিল থাকে তারা জীবনে সাফল্য পান দ্রুত। ভাগ্যও সবসময় পক্ষে থাকে। অন্যদিকে, সমুদ্র শাস্ত্র অনুসারে, কোনও ব্যক্তির ডান বাহুতে তিল থাকা মানে সেই ব্যক্তি ধন-সম্পদ লাভ করতে চলেছেন।