হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দেবী লক্ষ্মী হলেন সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। কথিত আছে যে লক্ষ্মী যার উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করে থাকেন, তার ঘরের ভাণ্ডার থরে থরে ভরে যায়। কখনও কোনও কিছুর অভাব থাকে না। হিন্দুমতে, লক্ষ্মীর স্বভাব চঞ্চলা, তাই বেশিদিন একই জায়গায় স্থায়ীভাবে বাস করেন না। তবে স্থায়ীভাবে রাখতে গেলে দরকার সঠিক সময় ও সঠিক নিয়ম। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে মহালক্ষ্মী ব্রত উৎসব। আগামী ১৫ দিন ধরে চলবে এই বিশেষ ব্রত। সাধারণত,ভাদ্রপদ মাসে মহালক্ষ্মী উপবাস পালন করা হয়। কথিত আছে যে এই ১৫দিনের মধ্যে যারা নিষ্ঠা ভরে উপবাস করেন ও লক্ষ্মীর আরাধনা করেন, তাঁর জীবনে কোনও সমস্যা থাকে না, সব কাজেই আসে সাফল্য।
যদি মহালক্ষ্মী উপবাসের সময় আগাী ১৫ দিনের জন্য বেশ কিছু সহজ প্রতিকার বা নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে জীবনে কখনও অর্থের অভাব হবে না। সুখ, সমৃদ্ধি পেতে পারেন, অর্থ ও শস্যের ঘাটতি কখনও হবে না। মহালক্ষ্মী উপবাস কখন শুরু ও প্রতিকারগুলি কী কী, তা জানুন এখানে…
মহালক্ষ্মীর উপবাস কখন শুরু হয়েছে?
মহালক্ষ্মী ব্রত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। আগামী ১৫ দিনের জন্য বেশ কিছু সহজ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
মহালক্ষ্মীর উপবাসের প্রতিকার
যদি কেউ চাকরি বা ব্যবসায় সমস্যায় পড়েন, তাহলে ১৫ দিনের মধ্যে রোজ মহালক্ষ্মী উপবাস করে মহালক্ষ্মীর ব্রত-কাহিনি পাঠ পড়ুন। সঙ্গে দুই হাতে ১৬টি করে চাল রাখুন। ব্রতপাঠ শেষ হলে সন্ধ্যের সময় এই ধানের শীষগুলো জলের মধ্যে রেখে দিন। শেষে চন্দ্রদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।
মহালক্ষ্মী উপবাসের প্রথম দিনে দেবী লক্ষ্মীকে ক্ষীর নিবেদন করা উচিত। এরপর ১৬জন মেয়ের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। এ কারণে সম্পদ, সমৃদ্ধি ও ধন-সম্পদের কোনও অভাব থাকবে না। যারা টানা ১৬ দিন উপবাস রাখতে পারবেন না, তারা প্রথম ৩দিন উপবাস রাখতে পারেন। তাতে একই রকম ফলে পেতে পারেন।
দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি বা পটের সামনে হলুদ রঙের কড়ি রেখে দিতে পারেন। এদিন নিষ্ঠাভরে ও নিয়ম মেনে পুজোর আয়োজন সেরে উপবাস শুরু করতে পারেন। ব্রত ও উপবাস শেষে হাতের কবজিতে লাল সুতো বেঁধে নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করুন।
– মহালক্ষ্মীর ব্রত উপবাসের সময় কমলগট্ট জপমালা দিয়ে লক্ষ্মী দেবীর বীজ মন্ত্র জপ করুন। মন্ত্র – ওম শ্রীম হ্রীম শ্রীম কমলে কমলালায়ে প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ শ্রীম হ্রীম শ্রী ওম মহালক্ষ্মী নমঃ।