
নিয়ম অনুসারে, কার্তিক পূর্ণিমার পরে, মার্গশীর্ষ মাস শুরু হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডারে নবম মাস হিসাবে পরিচিত। এই মাস হিন্দিতে আগান নামেও পরিচিত। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই মাসকে অগ্রহায়ণ মাস বলা হয়। আগান শব্দ থেকেই এই শব্দের উত্পত্তি। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, মার্গশীর্ষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে চন্দ্রদেব মৃগাশিরা নক্ষত্রে অবস্থান করে। তাই এর নাম হয় মার্গশীর্ষ। এই মাসে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ প্রভাব রয়েছেবলে মনে করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মার্গশীর্ষ মাসে কৃষ্ণ পুজোরও চল রয়েছে। তাই এই সময় ভক্তরা কৃষ্ণ পুজো করে আনন্দ ভোগ করলে তিনি মৃত্যুর পরে মোক্ষ লাভ করেন।শুধু তাই নয়, পৌরাণিক কাহিনির তথ্য অনুসারে, এই পবিত্র মাসে শ্রীরামচন্দ্র ও সীতার বিয়ে হয়েছিল।
মার্গশীর্ষ মাস ২০২৩
মার্গশীর্ষ মাস ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ও ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। একে আগান মাসও বলা হয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের হিসেব অনুসারে, এরপর শুরু হবে পৌষ মাস। কাল ভৈরব জয়ন্তী, উৎপন্ন একাদশী সহ মার্গশীর্ষ মাসে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রত-উপবাস ও উৎসব পালিত হয়। খরমাসও এ মাসেই শুরু হয়।
মার্গশীর্ষ মাসে কী কী নিয়ম পালন করবেন?
শঙ্খ পুজোর উপকারিতা
অগ্রহায়ণ মাসে তীর্থ বা গঙ্গা স্নান করলে পুণ্য লাভ হয় বলে মনে করা হয়। সকল প্রকার রোগ, দুঃখ ও দোষও দূর হয় এই প্রতিকার মেনে চললে। বিশেষ করে মহিলারা এই স্নান করে থাকেন শুধুমাত্র স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনার জন্য। এ মাসে শঙ্খ পূজারও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সাধারণ শঙ্খকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পঞ্চজন্য শঙ্খের সমতুল্য মনে করে হয়। আর তাই এই পূজা করলে মনোবাসনা পূরণ হয় বলে মনে করা হয়।
ধন ও সন্তান সুখের জন্য
সন্তান ও বিবাহিত জীবনে সুখ ফিরে পেতে মার্গশীর্ষ মাসে ১০৮ বার ক্রীম কৃষ্ণায় নমঃ মন্ত্র জপ করা উচিত।ওম নমো ভগবতে গোবিন্দায়, ওম নমো ভগবতে নন্দপুত্রায় বা ওম কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ মন্ত্রগুলিও জপ করতে পারেন। কর্পূর জ্বালিয়ে তুলসী গাছকে প্রদক্ষিণ করতে পারেন। এছাড়া এই মাসে তুলসী গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলেও সব ইচ্ছে পূরণ হতে পারে।