রবিবার বিকেল তিনেটের সময় সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন পরিনীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডা। রাজকীয় বিয়ের আসর বসেছে রাজস্থানের বিলাসবহুল তাজ লীলা প্যালেসে। রূপকথার বিয়ে বললে কম হবে না। যে বিলাসবহুল বিয়ের আসর বসেছে তাতে কোনও অংশেই রাজরাণী-রাজকন্যার বিয়ের থেকে কম কিছু নয়। শোনা গিয়েছে, এই বিয়ের মধ্যেই রয়েছে খাঁটি ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া, নেই কোনও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির স্বাদ। তাই অভিনব বিয়ের রোশনাইয়ে যে চোখ ধাঁধাবেই, তা বলাই বাহুল্য। একই জায়গায় রাজনৈতিক ও চলচ্চিত্র একসঙ্গে মিলিত হওয়ার চাক্ষুস করতে পারবেন পরিবারের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুবান্ধবরাই। বলিউডের বিগ ফ্যাট ওয়েডিং হলেই আম আদমির মনে প্রশ্ন জাগে, এই বিয়ে আদৌও টিঁকবে তো। কয়েক কোটি টাকা খরচ করার পরই শুরু হয় সম্পর্কে চির। তবে সবক্ষেত্রেই যে এমনটা হয়, তাও নয়। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাঘব চাড্ডার রাশি হল বৃশ্চিক ও পরিণীতি চোপড়ার রাশি হল কুম্ভ। তাঁদের বিবাহিত জীবন কেমন কাটবে, কেমন হবে তাঁদের সম্পর্ক, তা জানা যাবে জ্যোতিষচর্চাতেই।
বিবাহের জন্য শুভ সময়, মাস, দিন, রাশি, তিথি ও ঊর্ধ্বাকাশে শুভ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহের মাস হল ভাদ্রপদ, তিথি হল শুক্লা দশমী, বার হল রবিবার, নক্ষত্র হল উত্তরাষাঢ় এবং লগ্ন হল মকর। যদিও আষাঢ় শুক্ল একাদশী থেকে কার্তিক শুক্লা একাদশী পর্যন্ত বিবাহের জন্য শুভ বলে মনে করা হয় না, তবে পঞ্জাব- উত্তরভারতের বেশ কয়েকটি এলাকায় খর মাস ছাড়া অন্য সময়ে বিবাহ করা শুভ বলে মনে করা হয়। মাস হিসেবে তিথি দশমী হওয়ায় তা শুভ। রবিবার কখনও ভাল বা খারাপ হয় না। নক্ষত্র হল উত্তরাষাঢ় যা আরও শুভ। যোগ শোভন ভীষণ শুভ।
মুহুর্তা লগ্ন থেকে বিবাহিত জীবন কেমন কাটবে তাহলে দেখা যায়, চর লগ্নের উপস্থিতি কখনও কখনও দাম্পত্য জীবনে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি করে। আরোহণের দিক থেকে সপ্তম ঘরের অধিপতি চন্দ্র যখন দ্বাদশ ঘরে অবস্থান করে, তখন বিবাহের পর দম্পত্তির মধ্যে কারোও মধ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো থাকে না। যেহেতু এই চন্দ্র একটি শুভ রাশিতে রয়েছে ও রাশির অধিপতি বৃহস্পতি দ্বারা শাসিত, তাই এর অশুভ প্রভাবকে হ্রাস করে। আরোহণ থেকে কেন্দ্রে দুটি শুভ গ্রহের উপস্থিতিও আরোহীর দোষ কমায়। তাই সামগ্রিকভাবে এই দুজনের বিয়ের জন্য বেছে নেওয়া সময়টিকে শেষ পর্যন্ত শুভ সময় বলা যেতে পারে।