শীতকাল মানেই নলেন গুড়ের সুঘ্রাণ আর গুড় দিয়ে তৈরি নানা রকমের খাবার। শীতকালে বিশেষত গুড় খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে পুষ্টিকর নানা যৌগ রয়েছে, যা বিভিন্ন রোগের উপশম করতে পারে। অনেকেই জানেন না, যে শুধু স্বাস্থ্যের দিক থেকে নয়, জ্যোতিষ শাস্ত্রের দিক থেকেও গুড়ের উপকারিতা রয়েছে। গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে রাতের খাবারের পর গুড় খাওয়া হলে তা পেট সংক্রান্ত রোগ নিরাময় করে। লাল কিতাবের মতে, গুড় খেলে অনেক ধরনের সমস্যা দূর হয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারেও গুড়কে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। গুড়কে সূর্যের কারক বলে মনে করা হয়। তাই গুড় সংক্রান্ত কিছু প্রতিকার সূর্যের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে। এছাড়াও গুড় সংক্রান্ত এই প্রতিকারগুলি মেনে চললে চাকরি, ব্যবসা, অর্থ, ঋণ ও স্বাস্থ্যের মতো অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গুড়ের কিছু বিশেষ জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকারগুলি জেনে নিন…
– মঙ্গল যদি আপনার রাশিতে দুর্বল থাকে তবে মঙ্গলবার গুড় দান করুন। এতে ভাগ্য সহায় থাকে। মঙ্গলকে শক্তিশালী করতে ৮০০ গ্রাম গম ও সমপরিমাণ গুড় মিশিয়ে এই দিনে হনুমানজির মন্দিরে রাখুন। এতে মঙ্গলের অশুভ প্রভাব কমে যাবে।
– যদি আপনার কোনও ইচ্ছা পূরণ না হয়, তাহলে একটি গুড় নিয়ে একটি লাল কাপড়ে বেঁধে রাখুন। এবার তাতে এক টাকার কয়েন রেখে নদীতে প্রবাহিত হতে দিন।
– যারা চাকরি নিয়ে চিন্তিত বা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যান, তাহলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে গরুকে আটা ও গুড় খাওয়ান। এর জেরে যে কোনও কাজে সাফল্য আসবে দ্রুত।
– যদি আপনার বাড়িতে ঝগড়া বা বিবাদ লেগেই থাকে, তাহলে এই দিনে ১.২৩ কেজি গুড় রাখুন। এতে ঘরের পরিবেশ শান্ত থাকবে।
– দীর্ঘদিন ধরে যাদের বিয়ে হচ্ছে না, তারা গমের আটার বল বানিয়ে তাতে গুড় মিশিয়ে গরুকে খাওয়ান। এতে দাম্পত্য জীবনে আসা বাধা দূর হবে।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)