সুখের পর দুঃখ, কষ্টের পর সুখ, এমনটাই ওঠা-নামা করে জীবনে। সুখের রহস্যের গভীরতা কত তার তল পাওয়া খুব মুশকিল। তাই জীবনে সমস্যার ঝড় ওঠেই। অনেকেই ভাবেন, সুখ মানেই গোটা জীবনটাই কোনও সমস্যা ছাড়াই অতিবাহিত হয়ে যাবে। কারণ জীবনের সব সমস্যা সমাধানের কায়দা রপ্ত করাটাও সুখের থাকা অন্যতম অংশ। চাণক্য নীতিতে সুখী জীবনের বেশ কিছু গোপন কথা বলা হয়েছে। চাণক্য জানিয়েছেন, ব্যক্তি যদি সুখী হতে হলে কখনওই এই ৫ ব্যক্তির কাজে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। কোন কোন মানুষের কাজের মাঝে আসা উচিত নয়, তা জেনে রাখুন…
বিপ্রোবিপ্রবহ্নেশ্চ দমপত্যোঃ স্বমিভর্ত্যঃ।
অন্তরেণ ন গন্তব্য হলস্য বৃষভাস।।
জ্ঞানীদের সঙ্গে তর্ক করবেন না
আচার্য চাণক্য এই শ্লোকে বলেছেন যে যখনই দু’জন জ্ঞানী ব্যক্তি একে অপরের সাথে কথা বলছেন, তখন কেউ তাদের মধ্য দিয়ে যাবেন না। এতে তাদের কাজে বাধার সৃষ্টি হয়। এটাকে বলে মূর্খতা। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি কখনওই এই কাজটি করেন না কারণ এতে তার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
স্বামী ও স্ত্রী
চাণক্য জানিয়েছে, যে স্বামী ও স্ত্রী জীবনের রথের দুটি চাকার মতো। চাণক্য বলেছে, যখন স্বামী ও স্ত্রী একসঙ্গে ঘরের মধ্যে রয়েছেন, বা একসঙ্গে কোনও কাজ করছেন, তাতে তাদের কাজে কখনও হস্তক্ষেপ করবেন না। দম্পতিদের কথাবার্তা বাধা দেওয়া উচিত নয়, তাতে প্রাইভেসি নষ্ট হতে পারে।
লাঙ্গল ও বলদ
লাঙ্গল ও বলদ এক সঙ্গে দেখা গেলেও তাদের মাঝে চলাফেরা করা উচিত নয়। যে কোনও সময় আপনারই আঘাত লেগে যেতে পারে। এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও হতে পারে।
যজ্ঞ ও পুরোহিত
যখন কোনও পুরোহিত বা পূজারি অগ্নিকুণ্ডের কাছে বসে থাকেন, তখন সেই মাঝের পথ দিয়ে যেন না যান। এতে করে তাদের পুজোয় বিঘ্ন ঘটে। যজ্ঞে বিঘ্ন ঘটে। এতে ব্যক্তিকে পাপের অংশীদার করে তোলে।