
কমবেশি সকলের বাড়িতে পুজো বা শুভ অনুষ্ঠানে কাঁসার বা তামার পাত্রতে ঈশ্বরের জন্য নৈবেদ্য পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া ঠাকুরঘরে রোজই কাঁসা বা স্টিলের পাত্রেই ভোগ নিবেদন করে থাকেন অনেকে। তবে অনেকেই জানেন না, সব ঠাকুরকে কাঁসা বা তামার পাত্রে নৈবেদ্য দিতে নেই, তা হলে তাঁরা সন্তুষ্ট হন না। আসলে শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে একটি পাতার কথা। তাতে ঠাকুরকে নৈবেদ্য দিলে বেশি সন্তুষ্ট হন। কী সেই পাতা?
কলা গাছকে পুজোপাঠের দিক থেকে শুভ বলে মনে করা হয়। নানা পুজোতে কলা লাগে। আর ওই গাছের পাতা, অর্থাৎ কলাপাতায় নৈবেদ্য দিলে অনেক দেব-দেবী প্রসন্ন হন। বাঙালি পরিবারে ঠাকুরের জন্য কাঁসার বা স্টিলের বাসনপত্রের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। অবশ্য ভারতের দক্ষিণের দিকের পুজোর রীতি-নীতিতে আবার বিরাট পার্থক্য নজরে পড়ে। সেখানে সব ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেই কলা পাতার খুবই প্রাধান্য নজরে পড়ে।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মে মনে করা হয় কলা পাতাযর মধ্যে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীদেবী বাস করেন। তাই হিন্দুধর্মে প্রতিটি শুভ কাজে কলা পাতার ব্যবহার নজরে পড়ে। বিবাহ, অন্নপ্রাশন বা গৃহপ্রবেশের মতো একাধিক শুভ কাজে কলা পাতা এবং কলা গাছকে ব্যবহার করা হয়।
বাস্তুশাস্ত্র মতে কলা পাতা ব্যবহার করা হয় যে বাড়িতে, সেখানে শান্তি আসে। তবে সকল দেবদেবী যে কলা পাতায় নৈবেদ্য নিবেদন পছন্দ করেন, তেমনটা নয়। জেনে নিন কোন কোন দেবদেবীর কলা পাতা পছন্দ। বিষ্ণু, লক্ষ্মী, গণেশ ও দুর্গা এই চার দেব-দেবী কলাপাতায় নৈবেদ্য পরিবেশন করলে সন্তুষ্ট হন। যার ফলে যে ব্যক্তি কলাপাতায় এই দেবদেবীদের ভোগ নিবেদন করছেন, তাঁর অর্থকষ্ট দূর হয়।
বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা হিন্দুধর্ম থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।