
আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূচনা। দেবতর্পণ, ঋষিতর্পণ, মনুষ্যতর্পণ, পিতৃতর্পণের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। পিতৃতর্পণের মধ্যে দিয়েই বিশ্বজননীর শুভাগমনকে যুক্ত করা হয়ে থাকে। মহালয় থেকে মহালয়া এসেছে। আর মহালয় কথার অর্থ হল মহান যে আলয় বা তীর্থ। শুধু তাই নয়,মহালয়কে পরমাত্মাও বলা হয়ে থাকে। আবার মহালয়াকে অপরপক্ষও বলা হয়। আশ্বিন মাসের শুক্লাপক্ষকে কৃষ্ণপক্ষ বা অপরপক্ষ বলা হয়। তাই এদিনটি হল পূর্বপুরুষের মর্ত্যে উত্সবের আশ্রয়।
দেবীপক্ষের আগে টানা ১৫দিন ধরে চলে এই পিতৃপক্ষ। সর্ব পিতৃ অমাবস্যা পিতৃপক্ষের অন্তিম দিন। এই বিশেষ তিথিতে পূর্বপুরুষদের আত্মাকে বিদায় জানানো হয় তর্পণ বা পিণ্ডদানের মাধ্যমে। হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, মহালয়ার দিনেই পালিত হচ্ছে বছরের শেষ ও দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ। শুধু তাই নয়, ১৪ অক্টোবর সর্ব পিতৃ অমাবস্যা ও শনি অমাবস্যা ও সূর্যগ্রহণ একসঙ্গেই পালিত হচ্ছে। এই বিশেষ দিনে এমন কিছু করবেন না, যার কারণে পূর্বপুরুষরা রুষ্ট হয়ে যান। পূর্বপুরুষের অসন্তুষ্টির জেরে দারিদ্র্য, দুঃখ ও সমস্যার বন্যা বয়ে যেতে পারে। তাই কোন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকবনে, তা জেনে নিন এখানে…
আজ, সর্ব পিতৃ অমাবস্যায়, সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ৮টা ৩৪ মিনিটে এবং চলবে মধ্যরাত ২টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
– সূর্যগ্রহণের কারণে সর্ব পিতৃ অমাবস্যায় তুলসী পুজো একেবারেই করবেন না। এমনকি তুলসী পাতা বা কোনও অংশ কাটবেন না। এমনটা করলে দেবী লক্ষ্মীও রেগে যেতে পারেন। জীবনে দারিদ্র্য ও অর্থকষ্ট তৈরি হতে পারে।
– এ দিনে ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত। ভুল করেও শারীরিক সম্পর্ক করা উচিত নয়। এর জেরে পূর্বপুরুষরা খুব বিরক্তি হতে পারেন। রাহু-কেতু গ্রহেরও জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
– সর্ব পিতৃ অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণের কারণে গর্ভবতী মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও ধারালো বস্তু বা জিনিস ব্যবহার করবেন না আজ।
– মাথায় রাখবেন, ভুল করেও এ দিনে আমিষ খাবার রান্না বা খাবেন না। শ্মশান বা নির্জনস্থানে কখনও একা বা পরিবারকে নিয়ে যাবেন না। অমাবস্যার দিনে নেতিবাচক শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে।