বিভিন্ন সংস্কৃতি বিভিন্ন দিনে নববর্ষ (Poila Baishakh 2023) উদযাপন করে। হিন্দু ক্যালেন্ডার (Hindu Calender) রয়েছে আরও বেশ কিছু ক্যালেন্ডার। যেখানে বছরের প্রথমদিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ইংরেজি ক্যালেন্ডার মতে বছরের প্রথমদিন বা চৈনিকদের ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষ যেমন ধুমধাম করে পালিত হয়, তেমনি দেশের মধ্যেই আঞ্চলিক নববর্ষও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়। অনেকে এদিনটিকে গুড়িপাড়োয়া ও উগাদি বলে উদযাপন করেন, আবার কেউ কেউ বৈশাখী ও পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে। যদিও এগুলি শুধুমাত্র কিছু আঞ্চলিক নববর্ষ।
চৈত্র মাসের প্রথম দিনে গুড়িপদ ও উগাদি উদযাপিত হয়, তেমনি বৈশাখ মাসের শুরুতে বৈশাখী ও পয়লা বৈশাখ উদযাপিত হয়। হিন্দু-শিখ সম্প্রদায়ের জন্য বৈশাখী নববর্ষের সূচনা করে। অন্যদিকে, পয়লা বৈশাখ বাঙালিরা নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয়। এদিনটি বাঙালিদের কাছে বড় উত্সব হিসেবে পালন করা হয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন। অন্যদিকে ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখী বা শিখ নববর্ষ ১৪ এপ্রিল শুক্রবার উদযাপিত হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি আসলে ফসল কাটার উৎসব। সেই কারণেই মানুষজন অনেক আনন্দ ও ভক্তির সঙ্গে দিনটি উদযাপন করা হয়।
পয়লা বৈশাখ ২০২৩
পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষ ১৫ এপ্রিল শনিবার পালিত হবে। পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে বাঙালিরা পালন করে। অসমে, নববর্ষ বিহু হিসাবে পালিত হয়।
তাৎপর্য
বৈশাখী ধর্মীয় এবং ফসল কাটার উভয় দিক থেকেই অনেক তাৎপর্য বহন করে। দৃক পঞ্চাঙ্গের মতে, এই দিনটি খালসা গঠনের (বিশুদ্ধ) চিহ্ন যা ১৬৯৯ সালের বৈশাখীর দিনে ঘটেছিল। সেই দিন যখন গুরু গোবিন্দ সিং উচ্চ এবং নিম্ন বর্ণ সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য বিলুপ্ত করেছিলেন। শিখ গুরু ঐতিহ্যের সমাপ্তি ঘটে, গুরু গ্রন্থ সাহেবকে শিখ ধর্মের শাশ্বত গাইড ও পবিত্র গ্রন্থ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
বাঙালিদের কাছে এর গুরুত্ব
পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের সূচনা। শুধু ধর্মীয়ভাবে নয়, এই দিনটি ব্যবসায়ীদের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি নতুন আর্থিক বছরের সূচনা করে ও লোকেরা হালখাতা নামে নতুন অ্যাকাউন্টের খাতাও খোলা হয়। এছাড়া ভাল ফসল ফলনের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার জন্য এইদিন বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।