
চৈত্র মাসের শুক্ল নবমী তিথিতে পূজিত হন শ্রীরামচন্দ্র। ত্রেতা যুগ এই দিনে সপ্তম অবতার রাম রূপে অযোধ্যার রঘু বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পালন কর্তা শ্রীরামচন্দ্র। এই দিন হিন্দু ধর্মীদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের নানা সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে এই দিন বাড়িতে অনেকেই রামচন্দ্রের মূর্তি স্থাপন করেন। কথিত, নিজের ভক্তদের সর্বদা সঠিক পথে পরিচালনা করেন রাম। তাঁর আশির্বাদে জীবন হয়ে ওঠে সুখময়। আপনিও কি এই রামনবমীতে রামমূর্তি ঘরে আনবেন ভাবছেন?
বাস্তু শাস্ত্র বলছে এই দিনে বাড়িতে রামমূর্তি স্থাপন করা ভাল। তবে চাইলেই রামের সব ধরনের মূর্তি কিন্তু স্থাপন করা যায় না। তাহলে কেমন মূর্তি রাখা উচিত?
বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাড়িতে রাখার জন্য রাম দরবার বেশ শুভ। রামের বাঁ পাশে স্ত্রী সীতা, ডান পাশে ভাই লক্ষ্মণ ও ভক্ত হনুমান, একসঙ্গে রাম দরবার বলা হয়। মানে রামের দরবারে এই তিনজন বসে আছেন।
প্রাচীনকালে ঘরে ঘরে রামের দরবারের ছবি বা মূর্তি রেখে পুজো করার চল ছিল। কথিত আছে, প্রতিদিন নিয়ম করে রামের দরবার পুজো করলে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। সনাতন ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের গুরুত্ব বেশি। বাস্তুর নিয়ম মেনে চললে ঘরে সবসময় পজিটিভ শক্তি বজায় থাকে। সুখ-সমৃদ্ধির বন্যা বয়ে আসে।
কোথায় রাখবেন এই রাম দরবার মূর্তি?
বাড়ির ঠাকুরঘরে প্রিয় দেব-দেবীর ছবি রাখেন অনেকেই। ছবি রাখার সময়, বাস্তুশাস্ত্রের নিয়ম না মানলে জীবনে সমস্যায় পড়তে হয় বার বার। বিশ্বাস, ঘরে সঠিক দিকে শ্রী রামচন্দ্রের দরবারের ছবি রাখলে সুখ শান্তি আসে। রাম দরবারের ছবি যদি ভুল দিকে লাগানো হয় বা রাখা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে দুঃখের অন্ত থাকে না।
কী ভাবে পুজো করতে হয় রাম দরবারের?
সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরুন। এরপর গঙ্গাজল দিয়ে শ্রী রাম দরবার পরিষ্কার করুন। রাম দরবারে বস্ত্র নিবেদন করুন , ফুল নিবেদন করুন। এবার রাম দরবারকে যথাযথভাবে পুজো করা উচিত। শেষে আরতি ও প্রসাদ বিতরণ করা উচিত।