
প্রাচীন কাল থেকেই লালা রঙের গুঞ্জা ফুলের বীজ দিয়ে সোনা মাপা হত। তাই এর গুরুত্ব যে কতটা তা জ্যোতিষশাস্ত্রেও উল্লেখ রয়েছে। সাধারণত পদুই ধরনের এই বীজ দেখা যায়। লাল ও সাদা। এর বিশেষত্ব হল, প্রতিটি বীজ সাধারণত একই মাপের ও একই ওজনের হয়ে থাকে। তই প্রাচীনকাল থেকেই গুঞ্জা ব্যবহার হয়ে আসছে। স্বর্ণকারের দোকানে সোনা-রূপোর মতো দামি পাথর মাপার জন্য গুঞ্জা বীজ ব্যবহার করা হত। তবে এই বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত। তাই সাধারণত ব্যবহার করা হয়। তবে জ্যোতিষশাস্ত্রে এর প্রভাব ও গুরুত্ব রয়েছে। বিরল এই ফল জ্যোতিষমতে কী কী কাজে লাগে তা জেনে নিন এখানে…
সকলেই চায়, প্রেম জীবন ও পেশাগত জীবন যেন সারাজীবন ভালোভাবে কাটুক। সে জীবনে অনেক সাফল্য অর্জন হোক। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, জীবনে উন্নতি লাভের জন্য অনেক ব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে গুঞ্জার প্রতিকার অন্যতম। তন্ত্রশাস্ত্রেও গুঞ্জাকে অত্যন্ত অলৌকিক বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
– সবার আগে জেনে নেওয়া যাক গুঞ্জা দেখতে কেমন হয়? গুঞ্জায় লাল, সাদা ও কালো রঙের বীজ থাকে। শুধু গুঞ্জার বীজই নয়, এর মূলও খুব উপকারী।
– লাল গুঞ্জার এই প্রতিকার অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করে।
– দেবী লক্ষ্মীকে লাল গুঞ্জার বীজ নিবেদন করা যে কোনও ব্যক্তির আর্থিক সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়া লাল গুঞ্জা ঘরের নিরাপদ স্থানে রাখলে অর্থ ও শস্যের কোনও অভাব হয় না।
– সন্তানের সুখ লাভের জন্যও গুঞ্জা ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু পজিটিভি দিকগুলি উন্নতির জন্য এই বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুদের সুখ পেতে ইতিবাচক মন নিয়ে এই বীজের মালা পরা উচিত। এর ব্যবহারে জ্ঞান ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।
– লাল গুঞ্জা কুনজর দূর করতেও ব্যবহৃত হয়। শিশুর বারবার কুদৃষ্টি হলে ৫ বা ১১টি গুঞ্জা নিয়ে পাঁচবার উল্টো করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন।
– বর ও কনেকে লাল গুঞ্জার মালা পরানো হয়। তাতে কুনজর খুব সহজে এড়িয়ে যাওয়া যায়।
– অর্থ আকর্ষণ করতে, একটি লাল এবং সাদা রঙের গুঞ্জা বীজে মালা পরা উচিত। এই মালা পরার পাশাপাশি ঋণ থেকে মুক্তি পেতে ধনলক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করতে হবে।
Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।