Sade Sati And Shani Dhaiyya: রাশিচক্রে ভোলবদল! শনির সাড়ে সাতি দশা ও ধাইয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচার সেরা উপায় কী?

Lord Shani: শনি সাড়ে সাতি দশা সবসময় সকলের জন্য অশুভ বার্তা বহন করে। ভাল ও খারাপ সবসময়ই হয়ে থাকে। তবে শনির সাতি দশা, ধাইয়া, মহাদশার প্রভাব কেমন হয়, এর ব্যবস্থা থাকে, তা জেনে নিন এখানে...

Sade Sati And Shani Dhaiyya: রাশিচক্রে ভোলবদল! শনির সাড়ে সাতি দশা ও ধাইয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচার সেরা উপায় কী?

| Edited By: দীপ্তা দাস

May 18, 2023 | 6:30 AM

জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিচক্রে এই দ্রহের অধিষ্ঠান ও গতি সবচেয়ে ধীর। শনিকে বিলম্বকারক গ্রহও বলা হয়ে থাকে। শনির প্রকোপকে ভয় পান সব মানুষই। কারণ শনির যে কোনও দশার জেরে জীবন ছাড়খার হয়ে যেতে পারে। দুঃখ, দুর্দশা, ভুল বোঝাবুঝিতে ভরপুর হয়ে যাবে জীবন। শনির সাড়ে সাতি দশাকে প্রায় সব মানুষই আতঙ্কে থাকে। শনি সাড়ে সাতি দশা সবসময় সকলের জন্য অশুভ বার্তা বহন করে। ভাল ও খারাপ সবসময়ই হয়ে থাকে। তবে শনির সাতি দশা, ধাইয়া, মহাদশার প্রভাব কেমন হয়, এর ব্যবস্থা থাকে, তা জেনে নিন এখানে…

শনির সাড়ে সাতি দশা কী?

জন্ম চন্দ্র রাশি থেকে শনি যখন দ্বাদশ ঘরে প্রবেশ করে, তখন শনি সাড়ে সাতি দশা শুরু হয়। একই সঙ্গে শনি যখন জন্ম চন্দ্র রাশি থেকে তৃতীয় ঘরে প্রবেশ করে, তখন শনি সাড়ে সাতির সমাপ্তি ঘটে। প্রতিটি ঘরে শনি গ্রহের আড়াই বছর ও তিনটি ঘরে মোট সাড়ে সাত বছর সময় লাগে, তাই নাম শনি সাড়ে সাতি দশা।

শনি ধাইয়া

শনি সাড়ে সাতি ছাড়াও শনি গ্রহ শনি ধাইয়া নামে আরেকটি রাশিচক্রে পরিবর্তন পরিচালনা করে। জ্যোতিষ অনুসারে, শনি যখন জন্ম চন্দ্র রাশি থেকে চতুর্থ বা অষ্টম ঘরে প্রবেশ করে, তখন তাকে শনির ধাইয়া বলে। এই দশা আড়াই বছর পর্যন্ত।

শনির সাড়ে সাতি দশা ও ধাইয়া কীভাবে জীবনকে প্রভাবিত করে?

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে,নিষ্ঠুর গ্রহ হিসেবে শনিগ্রহকেই ধরা হয়। যদিও এটি আপনার কর্ম অনুসারে ফল প্রদান করে, তাই একে কর্মের প্রভু বা দেবতাও বলা হয়। শনিদেব সাড়ে সাতি দশাচলাকালীন, বিভিন্ন রাশিচক্রের জন্য শনি বিভিন্ন ফলাফল প্রদান করে। শনিদেব সাতির সময়, একজনকে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়। চাকরি বা ব্যবসায় সমস্যা, মানসিক চাপ, কাজে বিলম্ব ও অন্যান্য বিষয়েও এর প্রভাব বিস্তার করে।

শনি সাড়ে সাতি দশার প্রতিকার

– ভগবান হনুমানকে সিঁদুর নিবেদন করুন ও হনুমান চালিসা পাঠ করুন।

– পুজো করার সময় শনি যন্ত্র স্থাপন করুন।

– প্রবাহিত জলে নারকেল ভাসিয়ে দিন।

– ছায়া পত্র দান করুন।

– শনি মন্ত্র জপ করুন।

– দশাংশ যজ্ঞ করা।

– শনিবারে শনিবারে উপবাস করা।

– সপ্ত ধান্য দান করুন।

– শনিবার পিপল গাছের পুজো করুন।

– সরষের তেল দান করুন।

– কুষ্ঠ রোগীদের সেবা করা

– বানরকে গুড় খাওয়ান।

– অ্যালকোহল ও মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

– পিঁপড়েকে ময়দা খেতে দিতে পারেন।

– জুতা ও কালো রঙের জামাকাপড় দুঃস্থদের দান করুন।

– কালো রঙের গরুকে তাজা ঘাস খেতে দিন।