Shani Dev: শনির রোষে কারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন? মুক্তির উপায়ও জানুন
Astro Tips: সাধারণত, শনিদেব যে কোনও ব্যক্তির নিজকর্মফলের উপর শুভ ও অশুভ ফল প্রদান করে থাকেন। আর তাই বড়ঠাকুরকে কর্মফলদাতা ও ন্যায়ের দেবতা বলা হয়ে থাকে। মনে করা হয়, শনির শুভ দৃষ্টি যদি একজন ভিক্ষুকের উপর পড়ে, তাহলে সে একদিন না একদিন রাজার আসনে বসার ভাগ্য পেয়ে থাতেন।

জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবকে ন্যায় ও কর্মফলের দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয়ে থাকে। তাঁকে রুষ্ট করা থেকে সকলেই বিরত থাকেন। সূর্য পুত্র রুষ্ট হলে জীবনে নেমে আসে সমস্যার ঝড়। আর সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কোনও পথউ খোলা থাকে না। সাধারণত, শনিদেব যে কোনও ব্যক্তির নিজকর্মফলের উপর শুভ ও অশুভ ফল প্রদান করে থাকেন। আর তাই বড়ঠাকুরকে কর্মফলদাতা ও ন্যায়ের দেবতা বলা হয়ে থাকে। মনে করা হয়, শনির শুভ দৃষ্টি যদি একজন ভিক্ষুকের উপর পড়ে, তাহলে সে একদিন না একদিন রাজার আসনে বসার ভাগ্য পেয়ে থাতেন। আর যদি কোনও ব্যক্তির উপর কুদৃষ্টি পড়ে, তাহলে তিনি রাজাকেও রাস্তায় নামিয়ে আনতে পারেন। তাই শনিগ্রহ নিয়ে সকলের মন ভীতির কাজ করে। এছাড়া শনির সাড়ে সাতি দশা আর ধাইয়ার চরম দুর্ভোগের ভয়ে মানুষ শনিকে অত্যন্ত আচার মেনে পুজো করে থাকেন। কিন্তু কুণ্ডলীতে যদি শনি উচ্চ স্থানে থাকে ও ব্যক্তির কাজকর্ম ভালো হয়, তাহলে শনির সাড়ে সাতি দশা ও ধইয়ার সময় জাতক-জাতিকারা অনেক উপকার ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
শনির উপর সর্বনাশ ঘটায়
যাদের উপর শনি রেগে থাকেন , তাহলে তাঁদের উপর আর্থিক সমস্যা ও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। আর্থিক ক্ষতি, অপমান, দ্বন্দ্ব ও কঠিন রোগের সম্মুখীন হতে হয়। সেই সব মানুষের জীবনে কোনও সুখ থাকতে পারে না। কোনও কাজে সাফল্যের মুখ দেখতে পান না। সংসার ও সম্পর্কেও ভাঙন ধরতে পারে না। তাই এই পরিস্থিতিতে শনিদেব যা কিছু অপছন্দ করেন সেসব কোনও কাজ করা উচিত নয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ন্যায়ের দেবতা শনি কখনও অন্যায়কারীদের রেহাই দেন না। শনিদেব এমন মানুষদের জীবনে কঠোর শাস্তি দেন।
