Sawan Saturday: শিব ও শনির আশীর্বাদে কাটবে সাড়ে সাতি দশা! শ্রাবণ শনিবার এই টোটকায় অর্থভাণ্ডার ভরবে কাণায় কাণায়

Astro Remedies: ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, শনিদেব ভগবান শিবের শিষ্য। এদিন শনিদেবের আরাধনা করলে ভগবান শিবের অঢেল আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কথিত আছে, শ্রাবণ মাসের যে কোনও শনিবার শিবের সঙ্গে শনিদেবকে পূজা করলে শনির ধাইয়া, সাড়ে সাতি দশা, মহাদশা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

Sawan Saturday: শিব ও শনির আশীর্বাদে কাটবে সাড়ে সাতি দশা! শ্রাবণ শনিবার এই টোটকায় অর্থভাণ্ডার ভরবে কাণায় কাণায়

| Edited By: দীপ্তা দাস

Jul 08, 2023 | 6:08 PM

শাস্ত্র অনুসারে (Astrology) শনিদেবকে (Shanidev) ভগবান শিবের (Lord Shiva) শিষ্য মনে করা হয়। কথিত আছে শনিদেবের পুজো করলে শিবের আশীর্বাদও পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, শনিদেবের পুজো করলে অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায় খুব সহজেই। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হয়েছে শ্রাবণ মাস। কথিত আছে যে এই পবিত্র মাসে, ভগবান শিবকে পূর্ণ ভক্তি সহকারে সেবা-যত্ন করলে খুব তুষ্ট হন। প্রসন্ন হয়ে ভক্তদের মনোবাসনা পূরণ করে থাকেন। শ্রাবণ মাসের সোমবারকে খুব বিশেষ মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, সোমবারের পাশাপাশি শনিবারকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। শনিবার শনিদেবকে উৎসর্গ করা হলেও এদিন শিবের পুজো করাও প্রচলিত।

ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, শনিদেব ভগবান শিবের শিষ্য। এদিন শনিদেবের আরাধনা করলে ভগবান শিবের অঢেল আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কথিত আছে, শ্রাবণ মাসের যে কোনও শনিবার শিবের সঙ্গে শনিদেবকে পূজা করলে শনির ধাইয়া, সাড়ে সাতি দশা, মহাদশা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। শনিদেবের কোপ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে শনিবার বেশ কিছু প্রতিকার মেনে চলুন। তাতে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধিও বজায় থাকে।

শ্রাবণ মাসের প্রথম শনিবারে করুন এই প্রতিকার

– জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির শনির সাড়ে সাতি দশা, ধাইয়া ও মহাদশার কোপে পড়েন তাহলে শনিবার শনিদেবের পুজো করা আবশ্যিক। শনির অশুভ প্রভাবে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে তাহলে শ্রাবণ মাসের শনিবার হল সেরা একটি দিন। এদিন শিবমন্দিরে শিবলিঙ্গে সরষের তেল দিয়ে অভিষেক করতে পারেন। পাশাপাশি প্রচি শনিবার উপবাস রাখা উচিত ভক্তদের।

– শাস্ত্র মতে, কোনও ব্যক্তির অর্থনৈতিক অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতি ঘটে, তাহলে মনে করা হয়, ওই ব্যক্তি শনিদেবের কোনও দশার প্রকোপে পড়েছেন। প্রচুর পরিশ্রম করার পরও যদি হাতের মুঠো থেকে ফসকে যাচ্ছে অর্থ, তাহলে বুঝতে হবে শনির সাড়ে সাতি দশার কোপে পড়েছেন। এই দশা থেকে মুক্তি পেতে শ্রাবণের শনিবার নিম কাঠ দিয়ে যজ্ঞ করতে পারেন। এতে ১০৮ টি কালো তিল নিবেদন করতে পারেন। তাই ঘুচবে আর্থিক কষ্ট।

– অনেক সময় ধার দেওয়া টাকা কোনওভাবেই ফেরত না পেলে সমস্যা তৈরি হয়। পাওনা টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে সারাজীবনই কেটে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ধর্মীয় মতে একটি লোহার পাত্রে সরষের তেল নিয়ে তাতে মধ্যমা আঙুল দিয়ে শনিদেবের মন্ত্র ‘ওম প্রাণ প্রীম প্রণ স: শনৈশ্চরায় নমঃ’ ১১ বার জপ করুন। এই পাত্র কাউকে দান করতে পারেন। এর মাধ্যমে পাওনা টাকা উদ্ধার হবে খুব তাড়াতাড়ি।

– যদি আপনার কুণ্ডলীর গ্রহ দুর্বল হয় ও অশুভ ফল দেয়, তাহলে শ্রাবণ মাসের প্রথম শনিবার স্নান ও ধ্যান করার পর জলে গঙ্গাজল, কালো তিল, সাদা ফুল ও বেলপত্র মিশিয়ে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র দিয়ে শিবকে অভিষেক করুন। কথিত আছে যে এই প্রতিকার করলে কুণ্ডলীর গ্রহগুলি শুভ ফল প্রদান করে ।

– শ্রাবণ মাসের প্রথম শনিবার শিবের আশীর্বাদ পেতে হনুমান মন্দিরে গিয়ে হনুমানকে সিঁদুর ও লাল ছোলা নিবেদন করতে পারেন। এতে অর্থের অভাব দূর হতে পারে। শ্রাবণ মাসের প্রথম শনিবার সন্ধ্যেয় পিপল গাছের পুজো করতে পারেন। অশ্বত্থ গাছকে সাতবার প্রদক্ষিণ করে প্রার্থনা করুন। বিশ্বাস করা হয় যে এই প্রতিকারে শনি ওশিবের আশীর্বাদে ভরপুর হতে পারেন। শনির কৃপায় সংসারে ফিরতে পারে সুখ-সমৃদ্ধি।