শনির কুনজর একবার পড়লে আর রক্ষে নেই। শনি তুষ্ট না হলে জীবন ছারখার হয়ে যেতে পারে। যদি জন্মছকে শনি ভালো অবস্থানে থাকে, তাহলে চিন্তার কারণ নেই। বিপদ আর আসে না। তবে অনেকেরই জন্মছকে ও রাশিরগ্রহে শনির অবস্থান ভালো থাকে না। শনির কুনজর থেকে রক্ষা পেতে ও সন্তুষ্ট করতে প্রতি শনিবার গ্রহরাজের পুজো দেন অধিকাংশ।জ্যোতিষ অনুসারে, শনিবার হল শনি পুজোর দিন। তুষ্ট হলে শনি শুভ ও অশুভ ফল প্রদান করেন শনিদেব। প্রতি শনিবার গ্রহরাজের পুজো করলে ভালো ফল প্রদান করেন। শনিদেবের পুজোর জন্য অনেক বিশেষ নিয়ম রয়েছে।
জ্যোতিষ অনুসারে, শনির দিনে সঠিক উপায় পুজো না করলে শনিদেব অসন্তুষ্ট থাকেন। হিন্দু ধর্মে, শনিবার ভগবান শনিকে উৎসর্গ করা হয়। সাধারণত, ন্যায়ের দেবতা হিসেবে মানা হয়। তাই মানুষ তার কর্মের ফল পান নিজগুণেই। সেইভাবে নির্ধারণ হয় ভবিষ্যতও। শনিবার রোজ যদি শনিদেবের মন্দিরে যান, তাহলে মোটেও এই ভুলগুলি করলে বড়ঠাকুরের পুজোর ফল পাবেন না।
এই ভুল কখনও করবেন না
শনিদেবের মন্দিরের বাইরে থেকে সরষের তেল কিনে শনিবার একই মন্দিরে নিবেদন করলে পুজোর ফল পাওয়া যায় না। এর পরিবর্তে, আপনি শুক্রবার তেল কিনে শনিবার মন্দিরে নিবেদন করুন। শনিদেবকে তেল নিবেদনের সময় মনে রাখবেন, এর ফোঁটা যেন এদিক ওদিক না ছড়িয়ে পড়ে।
এমন ভাবে দেখবেন না
মন্দিরে শনিদেবের সামনে কখনও দর্শন করা উচিত নয়, হাত জোড় করে প্রণাম করা উচিত নয়। শাস্ত্রে শনিদেবের দৃষ্টি খুব নিষ্ঠুর। যার উপর কুদৃষ্টি পড়ে, তাঁর দিন শুরু হয় উল্টো পথে। তাই মাথা নিচু করে হাত জোড় করে নিচের দিকে তাকিয়ে শনিদেবের পুজো করা উচিত।
কোন কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন
শনিদেবের মূর্তি কখনওই বাড়িতে স্থাপন করা উচিত নয়। তার বদলে কাছের মন্দিরে গিয়ে শনিদেবের পুজো করা উচিত। আরও একটা মাথায় রাখা উচিত, পুজো দেওয়ার সময় শনিদেবের মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালাবেন না। পূজার পর আশ্বত্থ গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালানো শুভ বলে মনে করা হয়। ঘরে বসে শনিদেবকে তুষ্ট করতে হলে পশ্চিম দিকে মুখ করে রাখুন।