Shankha Importance: শুভকাজে শঙ্খ কেন তিনবার বাজানো হয়? এর অর্থ জানলে অবাক হবেন আপনি

Hinduism: শঙ্খ বহুযুগ ধরেই সনাতন ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানের একটি অনবদ্য অংশ বলে মনে করা হয়। এর ইতিহাস, পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থের সঙ্গেও যুক্ত। ভগবান বিষ্ণু এবং শ্রী কৃষ্ণের এক হাতে সর্বদা শঙ্খ ধারণ করে থাকেন। এমনকি, মহাভারত যুদ্ধ শুরুর আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শঙ্খ বাজিয়েছিলেন।

Shankha Importance: শুভকাজে শঙ্খ কেন তিনবার বাজানো হয়? এর অর্থ জানলে অবাক হবেন আপনি
ছবিটি প্রতীকী

| Edited By: দীপ্তা দাস

Jan 22, 2024 | 7:30 AM

প্রতি সন্ধ্যেবেলায় ঠাকুরঘরে ও বাড়ির মূল দরজার সামনে জল ছিটিয়ে দেওয়ার পর, শঙ্খ বাঁজানো হয়। তাও আবার তিনবার। শুধু বাঙালির ঘরে নয়, প্রত্যেক হিন্দু পরিবারের শুভ কাজের সময় শঙ্খের ব্যবহার করা হয়। দিনশেষে সূর্যাস্তের পর শঙ্খ বাজিয়ে ঠাকুরঘরে পুজো করার রীতি রয়েছে। এই রীতি প্রাচীন কালথেকেই মেনে চলে আসছে। বিবাহ, অন্নপ্রাশন, গৃহপ্রবেশ, দুর্গাপুজো. লক্ষ্মীপুজোর মতো, যেকোনও শুভ কাজে, আনন্দের দিনে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিপদসঙ্কেতের আভাস দিতে শঙ্খ ব্যবহার করা হয়।

শুধু তাই নয়, শঙ্খে ফুঁ দেওয়া হলে পরিবেশও শুদ্ধ হয়, বিজয়েরও প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কথিত আছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাঁজানো হলে, দেবদেবীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। পুজোর শুরুর ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা যায়। সনাতন ধর্মে শঙ্খধ্বনিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। প্রতিটি শুভ কাজে শঙ্খ বাজানো হয়। শঙ্খ থেকে প্রথম ধ্বনি পবিত্র এবং বিশুদ্ধ।

শঙ্খ কিছু বিশেষ তথ্য

শঙ্খ বহুযুগ ধরেই সনাতন ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানের একটি অনবদ্য অংশ বলে মনে করা হয়। এর ইতিহাস, পুরাণ ও প্রাচীন গ্রন্থের সঙ্গেও যুক্ত। ভগবান বিষ্ণু এবং শ্রী কৃষ্ণের এক হাতে সর্বদা শঙ্খ ধারণ করে থাকেন। এমনকি, মহাভারত যুদ্ধ শুরুর আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শঙ্খ বাজিয়েছিলেন।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, শঙ্খ আদতে যুদ্ধের সূচনার ঘোষণা করতে ব্যবহৃত হত। যা কর্তব্য, ন্যায়পরায়ণতা এবং মন্দের উপর শুভ ও বিজয়ের প্রতীক।

শঙ্খ ধর্মীয় গুরুত্ব

আমাদের পূর্বপুরুষ ও পবিত্র গ্রন্থ অনুসারে, শঙ্খ ফুঁকনোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর বিশুদ্ধতা এবং ইতিবাচকতা। মনে করা হয়, শঙ্খ দ্বারা সৃষ্ট শব্দ পরিবেশকে শুদ্ধ করে ও নেতিবাচক শক্তি দূর করে। শুধু তাই নয়, আশেপাশের পরিবেশকেও বিশুদ্ধ করার একটি উপায় হিসাবেও দেখা হয়।  ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উপযোগী করে তোলে।

শঙ্খের অনুরণিত ধ্বনিটি ঐশ্বরিক আমন্ত্রণের অনুরূপ। যখন কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুঁক দেওয়া হয়, তখন দেব-দেবীদের আমন্ত্রণ হিসেবে কাজ করে। পূজার শুরুকে চিহ্নিত করে। তাই প্রত্যেককেই শঙ্খ বাজাতে হবে।

মন্দির ও আচার-অনুষ্ঠানে শঙ্খ বাজানো হয়

সনাতন ধর্মে, যেকোনও পুজো ও আরতির সময় শুরুতে শঙ্খ বাজানো হয়। এই প্রথা আজও মন্দির ও ঠাকুরঘরের পুজোর সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শঙ্খের পবিত্রতা এবং ভক্তকে ঈশ্বরের সঙ্গে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে এর ভূমিকার অনস্বীকার্য বলে মনে করা হয়।

প্রকৃতপক্ষে, অনেকেরই বাড়িতে, পরিবারের সদস্যরা সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যোদয়ের সময় প্রতিদিন ভোর ৪টের সময় শঙ্খনাদ বাজানোর রীতি রয়েছে। এর কারণে ঘরে সর্বদা আশীর্বাদ থাকে।