
ঘন কালো মেঘ আর ভারি বর্ষণ কেটে এবার শরতের নীল আকাশের হাতছানি। হিন্দু ধর্মে শারদীয়া পূর্ণিমার গুরুত্ব অপরিসীম। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে শারদীয়া পূর্ণিমা হিসেবে পালন করা হয়।এবছর শারদ পূর্ণিমার উত্সব ২৮অক্টোবর, শনিবার পালিত হবে। বিশ্বাস করা হয় যে শারদ পূর্ণিমার দিনে, চাঁদ ষোলো কলায় পূর্ণ হয়। তাই এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মানা হয়। শুধু তাই নয়, এদিনে আকাশ থেকে অমৃত বৃষ্টি হয় বলে মনে করা হয়। তাই শারদ পূর্ণিমার দিনে ক্ষীর তৈরি করার রেওয়াজ রয়েছে।এ দিনে ক্ষীর তৈরি করে রাতে খোলা আকাশের নিচে রেখে তা পরের দিন তা খাওয়া হয়। তাই শারদীয় পূর্ণিমার দিনে চাঁদের আলোয় রাখা ক্ষীরের অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
শারদ পূর্ণিমার দিনে শুভ সময়
২৮ অক্টোবর, বেলা ৪টে ১৭ মিনিট থেকে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। শেষ হবে ২৯ অক্টোবর , সকাল ০১টা ৫৩ মিনিটে। ২৮ অক্টোবর বিকেল ৫.৪৭ মিনিটে চন্দ্রোদয় হবে।
এ দিনে কী কী করবেন?
– শুধুমাত্র একটি কাঁচ বা মাটির পাত্রে ক্ষীর রাখার নিয়ম রয়েছে।
-এ দিনে উপবাস রাখলে মন থাকে শান্ত ও আধ্যাত্মিকময়। কারও প্রতি ঘৃণার অনুভূতি পোষণ করবেন না।
– শারদ পূর্ণিমায় শ্রীকৃষ্ণকে দুধ ও চালের তৈরি ক্ষীর নিবেদন করুন।
-এ দিনে চন্দ্রদেবতার পুজো করার প্রথা রয়েছে। এছাড়াও ‘ওম সোম সোমে’ নমঃ এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন।
শারদ পূর্ণিমার দিনে ভগবান সত্যনারায়ণেরও পূজা করা হয়। এছাড়াও, শারদ পূর্ণিমার দিনে দেবী লক্ষ্মী, চাঁদ ও শ্রী কৃষ্ণের পূজা করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। এই বিশেষ দিনে উপবাস পালনের প্রথা রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে যদি উপবাসের দিন শরীরকে মুক্ত ও শান্ত রাখেন তাহলে আরও ভাল উপায়ে অমৃত পেতে সক্ষম হবেন।