রোজকার পুজো করার আগে ঠাকুরঘর জল দিয়ে মুছে, গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করে তারপর ঠাকুরসেবায় বসার প্রচলন রয়েছে। অধিকাংশ হিন্দুদের বাড়িতেই পুজোর নির্দিষ্ট ঘর বা ঠাকুর ঘর রয়েছে। সেখানেই পুজোর ঘর বলা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, পুজোর ঘর পরিষ্কারেরও একটি নির্দিষ্ট দিন রয়েছে। রয়েছে সঠিক দিন ও সঠিক সময়। হিন্দু ধর্মে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যে পূজা-অর্চনার গুরুত্ব রয়েছে। তাই বেশিরভাগ বাড়িতেই আলাদা করে মন্দির বা পুজোর ঘর থাকে। একটি ছোট পুজো ঘর বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বিরাজ করে। এছাড়া বাস্তুর ত্রুটি দূর করে ও জীবন থেকে সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুরু করে। এছাড়াও, প্রতিদিন পুজো করলে দেব-দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। পুজো করার যেমন নিয়ম রয়েছে, তেমনি পুজো ঘরে জিনিসপত্র রাখার নিয়ম আছে। ধর্মীয় শাস্ত্রে উল্লিখিত এই নিয়মগুলি মেনে চললে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি বজায় থাকে ও উন্নতির পথ খুলে যায় দ্রুত।
কোন দিনে পুজোর ঘর পরিষ্কার করবেন
ঠাকুরঘর পরিষ্কার করার জন্য বাস্তুশাস্ত্রে শুভ ও অশুভ দিনের উল্লেখ রয়েছে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে পুজোঘর পরিষ্কার করা হলে গৃহে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। ঘরের মানুষের জন্য সাফল্যের পথ খোলা। ভুল দিনে ঠাকুরঘর পরিষ্কার করা হলে বাড়িতে দারিদ্র্য এবং দুর্দশার ছায়া নেমে আসে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে প্রতিদিন পুজোরস্থান পরিষ্কার করে পুজো করা উচিত, তবে শনিবার বাড়িতে মন্দির পরিষ্কার করা উচিত। এতে করে ঘরের নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। ঘরোয়া ঝামেলা ও আর্থিক অসুবিধা দূর হবে। এছাড়াও, শনিবার মন্দির পরিষ্কার করার পরে, গঙ্গা জল ছিটিয়ে দিন।
কোন দিনে মন্দির বা পুজোর ঘর পরিষ্কার করবেন না
বৃহস্পতিবার ও একাদশীতে বাড়ির মন্দির বা পুজোর ঘর পরিষ্কার করবেন না। এদিনে করা হলে ঘরে দারিদ্র্য ও দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে। এছাড়া বাড়ির সদস্যদের সৌভাগ্যও দুর্ভাগ্যে পরিণত হতে পারে। এছাড়া রাতে ঠাকুর ঘর পরিষ্কার করতে কখনও ভুলেও করবেন না। এই কাজ রোজ করলে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন । তাঁর ক্রোধের আগুনে সংসার ছাড়খার হয়ে যেতে পারে।