মা হওয়া প্রতিটি মহিলার জন্য খুব আনন্দের। এটি অনন্য অভিজ্ঞতা এনে দেয় মহিলাদের। এই সময়ে, মহিলাদের নিজেদের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, যাতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হতে পারে। বাস্তু অনুসারে, আমাদের চারপাশের জিনিসগুলিও গর্ভের শিশুকে প্রভাবিত করে। তাই একজন গর্ভবতী মহিলার উচিত এমন জিনিসগুলি তার চারপাশে রাখা যা সন্তানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে শিশু সুস্থ থাকবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, বাস্তু অনুসারে গর্ভবতী মহিলার ঘর কেমন হওয়া উচিত।
১) একজন গর্ভবতী মহিলার তার ঘরে একটি হাসিখুশি শিশুর ছবি রাখা উচিত। আপনার চোখ যেখানে বারবার পড়ে সেখানে এই ছবিটি রাখুন। এতে মায়ের মনও খুশিতে থাকবে।
২) গর্ভবতী মহিলার ঘরে গোপালের ছোটবেলার ছবি বা মূর্তি রাখা উচিত। এছাড়াও, এটি ঘরের এমন জায়গায় রাখুন যেখান থেকে আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আপনার চোখ ও মনোযোগ সেখানে চলে যায়। এতে মায়ের মন খুশিতে ভরপুর থাকে এবং সন্তানের ওপরও এর ভাল প্রভাব পড়ে।
৩) গর্ভবতী মহিলারা ঘরে তামার ধাতুর তৈরি কিছু রাখতে পারেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, এটি ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করে। এর পাশাপাশি এটি গর্ভবতী মহিলা ও শিশুকে খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করে।
৪) গর্ভবতী মহিলার ঘরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি ও শঙ্খও রাখতে পারেন। এতে শিশু শান্ত ও প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। এছাড়াও, আপনি ঘরে তামার ধাতুর তৈরি যে কোনও জিনিস রাখতে পারেন। এটি গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুর উপর খারাপ দৃষ্টি এবং নেতিবাচকতাকে প্রভাব ফেলে না এবং এটি ইতিবাচক শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
৫) বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, গর্ভবতী মহিলার ঘরে স্বামী-স্ত্রীর হাসির ছবিও রাখতে হবে। এতে সন্তান তার বাবা-মায়ের খুব কাছাকাছি থাকে। এর পাশাপাশি, গর্ভবতী মহিলা সর্বদা ইতিবাচক বোধ করেন এবং জন্ম নেওয়া শিশুটিও সুস্থ থাকে। এছাড়া ঘরে হলুদ চাল রাখতে পারেন, এটাও শুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৬) গর্ভবতী মহিলার ঘরে মহাভারতের ছবি, ছুড়ি-কাঁচি, কখনই রাখা উচিত নয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে একজন গর্ভবতী মহিলার এমনকি সুই-সুতার কাজ করা উচিত নয়, এটি শিশুর স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
৭) গর্ভবতী মহিলার ঘরে রামায়ণ বা শ্রীমদ ভাগবত পুরাণও রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন এগুলো পড়লে সন্তানের ওপর ভাল প্রভাব পড়ে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই বইটি প্রতিদিন পাঠ করলে শিশু ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকে।
৮) ঘরের রঙ হোক বা জামাকাপড়, গর্ভবতী মহিলাদের লাল, কালো এবং কমলার মতো গাঢ় রং ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত। এর পরিবর্তে হালকা রং যেমন হালকা নীল, হলুদ, সাদা এবং হালকা গোলাপি ব্যবহার করা উচিত। কারণ গাঢ় রঙের ব্যবহার একজন গর্ভবতী মহিলাকে বিষণ্ণতার শিকার করে তুলতে পারে। যা মা ও শিশু উভয়ের ওপরই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।