আমাদের সকলের জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধিতে বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ অবদান রয়েছে বলে মনে করা হয়। বাস্তু বিজ্ঞান ইতিবাচক এবং নেতিবাচক, উভয় শক্তির উপর ভিত্তি করে। বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি থাকলে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসে, কিন্তু যেখানে নেতিবাচক শক্তির আধিক্যের কারণে একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় পড়তে হয়। ঘরের বাস্তু দোষের কারণে একজন সবসময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন। বিশেষ করে বেডরুমের বাস্তু যদি খারাপ হয়, তাহলে তা বিবাহিত জীবনেও প্রভাব ফেলে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কিছু সহজ ব্যবস্থা রয়েছে যা অবলম্বন করে বিবাহিত জীবনে সুখ এবং শান্তি আনতে পারেন। কীভাবে তা করবেন, জেনে নিন এখানে…
– বাস্তু বিজ্ঞান অনুসারে, ঘরে ভারী আসবাব অনেক সমস্যা বয়ে নিয়ে আসে। তাই মনে রাখবেন স্বামী-স্ত্রীর বেডরুমে ওজনে হালকা ও কাঠের আসবাবপত্র রাখা দরকার। ভারি আসবাবপত্র যদি আগে থেকেই থাকে তাহলে ঘরের দক্ষিণ বা পশ্চিম দেওয়ালের দিকে রাখুন।
– হালকা রঙের আসবাবপত্র শোওয়ার ঘরে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখে ও গাঢ় রঙের আসবাব নেতিবাচকতাকে উৎসাহিত করে।
– বেড কেনা বা তৈরি করার সময় কাঠের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ বাস্তুতে কিছু কাঠকে শুভ এবং কিছু অশুভ বলে মনে করা হয়। গোলাপ কাঠ, চন্দন, অশোক, শেগুন, শাল, অর্জুন বা নিম কাঠের তৈরি আসবাবপত্র কিনুন, এগুলো শুভ ফল দেয়।
– বাস্তু মতে, আপনার শোওয়ার ঘরে অবশ্যই একটি জানালা থাকতে হবে। এতে ঘরে পজিটিভ এনার্জি আসে, যা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে।
– স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলে ঘরে তাজা ফুল রাখতে হবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে ফেলতে হবে।
– স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব থাকলে বেডরুমে দুটি লাল রঙের মোমবাতি জ্বালান, এতে করে দুজনের সম্পর্ক মজবুত হবে।
– শোওয়ার ঘরে কখনওই আয়না রাখবেন না। যদি আয়না থাকে তবে মনে রাখবেন আয়নাটি এমনভাবে হওয়া উচিত যে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কেউ যেন সরাসরি আয়নার দিকে না তাকায়। এতে নেতিবাচক শক্তি বাড়ে, যার কারণে দাম্পত্য জীবনে তিক্ততা গলে যেতে পারে।
– স্বামী-স্ত্রীর ব্যবহৃত বিছানায় সবসময় একটিমাত্র গদি থাকা উচিত। ডাবল বেড থাকলে ডাবল বেডের ম্যাট্রেস রাখুন। দুটি তোষক দিয়ে বিছানায় ঘুমালে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
– ঘরের দেওয়াল সবসময় হালকা রঙে রাঙান। সম্ভব হলে, বেডরুমে হালকা গোলাপী বা হালকা পীচ রঙ করুন, এতে দুজনের মধ্যে প্রেম বাড়ে, একটি নতুন শক্তির যোগাযোগ হয়।
– শোওয়ার ঘর পরিষ্কার করার সময় লবণ জল দিয়ে মুছুন। লবণকে ইতিবাচক শক্তির একটি বড় উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়াও, এই ঘরে মাকড়শার জাল তৈরি হতে দেবেন না। ঝুল ও মাকড়শার জাল জীবনে নেতিবাচকতা নিয়ে আসে।
– স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অটুট প্রেম এবং সংযোগের জন্য, বেডরুমের উত্তর দেওয়ালে রাধাকৃষ্ণের একটি আলিঙ্গন ছবি রাখুন।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)