সনাতন ধর্মে প্রায় প্রতিটি ঘরেই একটি করে তুলসী গাছ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তুলসীর পুজোও করেন সকলে। তুলসীর মালা পরা তুলসী গাছের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তুলসীর মালা পরলে তা শুধু ধর্মীয় দর্শন রয়েছে, তা নয়, রয়েছে অনেক উপকারও। তবে সকলেই তুলসীর মালা পরারও রয়েছে সঠিক নিয়ম। আর সেই নিয়ম না মানলেই হতে পারে চরম বিপদ।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, তুলসীতে দেবী লক্ষ্মীর অধিবাস ও তুলসীর মালা দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মন্ত্র জপ করা অত্যন্ত ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই অবস্থায় গলায় তুলসীর মালা পরলে মন ও আত্মা উভয়ই পবিত্র থাকে। এছাড়া মনের মধ্যেও ইতিবাচক চিন্তা শক্তি বেড়ে যায়। তুলসী মালা পরার জন্য রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম, যে ধারণ করার আগে বা পরে সেই নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত।
কাদের তুলসীর মালা পরা উচিত নয়
– যদি তুলসীর জপমালা পরার কথা ভাবেন, তাহলে বেশ কিছু নিয়ম জেনে নেওয়া উচিত। যদি এই জপমালা পরে থাকেন তবে মাংস ও অ্যালকোহল জাতীয় কোনও খাবারই খাওয়া এড়ানো উচিত। এর পাশাপাশি তামসিক খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত। এই অবস্থায় সাত্ত্বিক খাবার খাওয়া উচিত।
– যে ব্যক্তি তুলসীর জপমালা পরেছেন তাদের যেন ভুল করেও রুদ্রাক্ষ জপমালা পরা উচিত নয়। অন্যথায় ব্যক্তিকে বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারে।
তুলসীর মালা পরার নিয়ম
জ্যোতিষশাস্ত্রে তুলসীর মালা পরা নিয়ে অনেক নিয়মের কথা বলা হয়েছে। যদি একবার তুলসীর মালা পরিয়ে থাকেন। ভুল করেও বারবার সরানো উচিত নয়। এর জেরে ভালো ফল পাওয়া কঠিন হতে পারে।
তুলসীর জপমালা পরার আগে তা শুদ্ধ করা খুবই উচিত। মালা পরার আগে গঙ্গাজল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। জপমালা শুকিয়ে যাওয়ার পরেই তা পরা উচিত।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যদি গলায় তুলসীর জপমালা পরতে না পারেন, তবে তা ডান হাতেও পরা যেতে পারে। তবে প্রতিদিনের আচারের সময় এই মালা খুলে ফেলা উচিত। স্নান করার পর, গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর আবার পরতে পারেন।