জন্ম (Birth) এবং মৃত্যু (Death) এই বিশ্বের সবচাইতে বড় সত্যি। ‘মৃত্যু’ শব্দটিকে অনেকে ভয় পায়। কেউ কেউ আবার মৃত্যুকে ইহলোক থেকে মুক্তির রাস্তা বলেও বিবেচনা করেন। শোনা যায়, বড় বড় সাধু এবং সন্তরা মারা যাওয়ার বহু আগেই জানতে পারেন মৃত্যুর দিনক্ষণ। যোগ সাধনা এবং তপস্যার মাধ্যমে তাঁরা অর্জন করেন ব্রহ্মজ্ঞান (BrahaGaayan)। সেই কারণেই ভবিষ্যৎ তাঁদের আর অজানা থাকে না। সাধন সম্পূর্ণ হলে তাঁরা মহাসমাধি নেন ও আত্মা নশ্বর দেহ ত্যাগ করে পৌঁছে যায় ঈশ্বরলোকে। তবে সাধারণ মানুষ মৃত্যুকে খানিকটা ভয়ই পায়। একইসঙ্গে সকলেই জানতে চায় কবে তার ইহলোকের খেলা সাঙ্গ হবে! জ্যোতিষমতে (Astrology), কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর আগে বেশ কতকগুলি লক্ষণ তাঁর সামনে নানাভাবে প্রকাশ পেতে থাকে। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ অনুসারে জানা যায়, সেই সকল সঙ্কেত সম্পর্কে দেবী পার্বতীকে মহাদেব বলে গিয়েছিলেন। শিব পুরাণেও এই বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
ত্বকের রং
মৃত্যু সমাগত হলে একজন ব্যক্তির চামড়ার রং ফ্যাকাসে কিংবা নীল হয়ে যায়। এই ধরনের ব্যক্তি খুব দ্রুত মারা যান। এছাড়া এই ধরনের লক্ষণ বলে দেয় ওই ব্যক্তি ৬ মাসের মধ্যেই ইহলোক ত্যাগ করতে চলেছেন।
ছায়ার পৃথক হয়ে যাওয়া
আমাদের হাঁটার সময় ছায়াও সঙ্গে সঙ্গে হাঁটে। যদি কোনও ব্যক্তি অনুভব করেন যে তাঁর শরীরের সঙ্গে ছায়া পৃথক হয়ে গিয়েছে, সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তির দ্রুত মৃত্যু হতে চলেছে।
রং চিনতে সমস্যা
শিব পুরাণ অনুসারে, কোনও ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন রং চিনতে সমস্যা হলে এবং হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তি সমস্ত কিছু কালো দেখতে শুরু করলে, বুঝতে হবে মৃত্যু খুব নিকটেই অপেক্ষা করছে।
বাম হাতে ঝিনঝিন
কোনও ব্যক্তির বামহাতে একটানা বা প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে ঝিনঝিনে ভাব দেখা গেলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তির দিন শেষ। একমাসের মধ্যেও ওই ব্যক্তির মৃ্ত্যু হতে পারে।
নীল মাছি
যে গৃহে কোনও দিন মাছি ঢুকত না, সেখানে হঠাৎ করে নীল রঙের মাছি ঢুকছে? নীল রং মৃত্যুকে নির্দেশ করে। কোনও ব্যক্তিকে নীল মাছি প্রদক্ষিণ করতে শুরু করলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তির জীবনকাল সমাপ্ত হতে চলেছে।
ত্রিদোষের একসঙ্গে আগমন
মানব শরীরে তিনটি দোষ একসঙ্গে সমাগত হলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তির দেহ ত্যাগের সময় চলে এসেছে। প্রশ্ন হল ত্রিদোষ কী? কফ, পিত্ত এবং বাত হল ত্রিদোষ। এই তিনটি দোষ একসঙ্গে শরীরে আক্রমণ করলে বুঝতে হবে শরীর জীর্ণ হয়ে পড়েছে।
ছায়া দেখতে না পাওয়া
কোনও ব্যক্তি জল, তেল, ঘি, সীসায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে না পেলে বুঝতে হবে তার মৃত্যুর দিন এগিয়ে আসছে। এই লক্ষণের অর্থ হল ওই ব্যক্তির কাছে আর বড়জোর ৬ মাস সময় রয়েছে!
দিকভ্রষ্ট হওয়া
চারটি দিক সম্পর্কে ভ্রম তৈরি হওয়াও আসন্ন মৃত্যুর সঙ্কেত দেয়। কেউ কেউ বলেন, কোনও ব্যক্তির মৃত্যু নিকট ভবিষ্যতে লুকিয়ে থাকলে ওই ব্যক্তি ধ্রুবতারা দেখতে পান না!