
ঠাকুরঘর বা সম্পত্তি বৃদ্ধির জন্যই শুধু বাস্তুশাস্ত্র কাজে লাগে তা মোটেই নয়। বেডরুমের জন্যও রয়েছে বাস্তুশাস্ত্র। বেডরুমের বাস্তু স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে প্রভাবিত করে, তাই । শোওয়ার ঘর সাজানোর সময় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত প্রত্যেক দম্পত্তির। বাস্তুমতে এমন অনেক কিছু চিত্র রয়েছে, যা বেডরুমে রাখা হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাস্তুশাস্ত্রে ঘরে রাখা জিনিসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুবিদদের দাবি, বাড়িতে রাখা সমস্ত কিছুতে একটি শক্তি থাকে যা বাড়ির সদস্যদের উন্নতিকে প্রভাবিত করে। বাস্তু অনুসারে, বাড়িতে রাখা ছবিও বাড়ির শক্তিতেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। বেডরুমে কোনও পেইন্টিং বা ছবি রাখার সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। অনেক সময় আমরা বেডরুমে এমন পেইন্টিং করে রাখি, যা কিছু না ভেবেই সুন্দর দেখাযয়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে সেগুলিকে সঠিক মনে করা হয় না। বাস্তু অনুসারে, সেই সব পেইন্টিং-গুলি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। শোওয়ার ঘরে কী ধরনের পেইন্টিং ব্যবহার করা উচিত নয়, তা জেনে নিন একনজরে…
১. বেডরুমে কখনওই ভূত, অশুভ বা শয়তান সম্পর্কিত কোনও পেইন্টিং রাখা উচিত নয়। এতে ঘরে নেতিবাচক শক্তি বাড়ে। যদি বেডরুমে এই ধরনের পেইন্টিং রেখে থাকেন, তাহলে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলুন।
২. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বেডরুমে যুদ্ধের ছবি রাখাও উচিত নয়। এ ধরনের পেইন্টিং ঘরে সমস্যা বাড়াতে কাজ করে। বিশ্বাস করা হয় যে এই ধরনের পেইন্টিং লাগালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ বাড়ে।
৩. বেডরুমে একক প্রাণী বা মানুষের পেইন্টিং করা উচিত নয়। এতে একাকিত্ব সৃষ্টি হয়। বাস্তু অনুসারে শোওবার ঘরে আগুনের ছবিও রাখা উচিত নয়। আগুনকে ধ্বংসের প্রতীক বলে মনে করা হয়। কথিত আছে বেডরুমে রাখলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রাগের ভাব বাড়ে।
৪. প্রয়াত পূর্বপুরুষের ছবিও শোওয়ার ঘরে রাখা উচিত নয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বেডরুমে এ ধরনের ছবি স্বামী-স্ত্রীর মনে অশান্তি তৈরি করে। পুজোর ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণের দেওয়ালে পূর্বপুরুষের ছবি লাগানো ভাল লক্ষণের কাজ করবে।
৫. বেডরুমে জলের উপাদানের ছবি রাখাও এড়িয়ে চলা উচিত। বাস্তু অনুযায়ী,বিশ্বাস করা হয় যে এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক কখনও ঠিক করতে দেয় না। তবে এই পেইন্টিংগুলো বেডরুমের উত্তর দিকের দেওয়ালে লাগানো যেতে পারে।