
বাস্তুশাস্ত্র মতে, যেমন কিছু গাছ ঘরের জন্য শুভ ও সৌভাগ্য বয়ে আনে, তেমনি কিছু গাছ আবার নেতিবাচক শক্তি ছড়াতে পারে, যা স্বাস্থ্য সমস্যা, মানসিক অস্থিরতা ও পারিবারিক অশান্তির কারণ হতে পারে। কোন গাছ রাখলে কী হয়?
১. তমসিক প্রকৃতির গাছ (যেমন তামাক, ডাঁটা বা আফিম জাতীয় গাছ) –
এই গাছগুলোকে বাস্তু মতে তমোগুণে ভরপুর বলে ধরা হয়। এগুলো নেতিবাচক শক্তি তৈরি করে এবং মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা বা আসক্তির প্রবণতা বাড়াতে পারে।
২. কাঁটা যুক্ত গাছ (যেমন ক্যাকটাস বা কাঁটাওয়ালা গুল্ম) –
বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়, কাঁটা যুক্ত গাছ ঘরে দুঃখ, অশান্তি ও দ্বন্দ্ব আনে। এ ধরনের গাছের উপস্থিতি ঘুমের সমস্যা, রক্তচাপের ওঠানামা ও রাগ বাড়ানোর কারণ হতে পারে।
৩. বড় আকৃতির বট বা অশ্বত্থ গাছ –
এই গাছগুলি পবিত্র হলেও বাসায় লাগালে ভালো নয়। এগুলোর শেকড় চওড়া হয়ে যায় এবং বাস্তুদোষ তৈরি করে। একে মানসিক ভারসাম্যহীনতা, ক্লান্তি ও দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারণ হিসেবে ধরা হয়।
৪. দুধ বের হয় এমন গাছ (যেমন একবালের মতো গাছ) –
যে গাছের ডাল ভাঙলে সাদা রস বের হয়, সেগুলো বাসায় রাখা নিষেধ। এগুলো বাস্তু মতে অশুভ এবং চর্মরোগ, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টের সম্ভাবনা বাড়ায়।
৫. মৃত বা শুকনো গাছ –
যেকোনো মৃত, শুকিয়ে যাওয়া বা রোগে আক্রান্ত গাছ ঘরে রাখা বাস্তুদোষের সৃষ্টি করে। এটি ক্লান্তি, অবসাদ, বা দীর্ঘ রোগভোগের ইঙ্গিত দেয়।
গাছ আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে বাস্তু অনুযায়ী সঠিক গাছ নির্বাচন করলে তা যেমন ঘরের পরিবেশ ভালো রাখে, তেমনি ভুল গাছ শরীর ও মন—দুটোই খারাপ করতে পারে। তাই ঘরে গাছ রাখার আগে বাস্তু-পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।