Baisakhi 2023: মেষ সংক্রান্তিতে বৈশাখীর রয়েছে গুরুত্ব ও তাত্পর্য, সুখ ও সৌভাগ্যের ভাগীদার হতে এদিন কী করবেন?
Significance of Baisakhi: পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি প্রভৃতি রাজ্যে বৈশাখী উৎসবের মতো রঙিন উত্সবে মেতে উঠেছেন সকলে। এদিনে পঞ্জাবে প্রচুর ধুমধাম হয় কারণ এ দিন থেকে শিখ নববর্ষ শুরু হয়।

হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, আজ মেষ সংক্রান্তির দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আড়ম্বরে পালিত হচ্ছে বৈশাখী উৎসব। বৈশাখীকে প্রধানত কৃষকদের উৎসব হিসেবে মনে করা হয়। এইদিনটি আসলে ফসল কেটে ঘরে আনার জন্য় পালন করা হয়। এছাড়া এদিন একে অপরের সঙ্গে আনন্দ বিনিময় করতে মিলেমিশে উত্সবে সামিল হওয়ার অত্যন্ত শুভদিন। পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি প্রভৃতি রাজ্যে বৈশাখী উৎসবের মতো রঙিন উত্সবে মেতে উঠেছেন সকলে। এদিনে পঞ্জাবে প্রচুর ধুমধাম হয় কারণ এ দিন থেকে শিখ নববর্ষ শুরু হয়। বৈশাখী উৎসবের ধর্মীয় গুরুত্ব, পুজোর পদ্ধতি জেনে নিন…
তাৎপর্য
হিন্দু ও শিখ উভয় ধর্মেই পবিত্র বৈশাখী উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। শিখদের বিশ্বাস অনুসারে, বৈশাখীর দিনে শিখদের দশম গুরু অর্থাৎ গুরু গোবিন্দ সিং খালসা পন্থ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, অন্যদিকে হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে সূর্য মীন রাশি থেকে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে এবং এই দিনে সূর্যদেব ও লক্ষ্মীনারায়ণ। পুজোর মতো কোনও শুভ কাজ করলে সাধক সুখ ও সৌভাগ্য লাভ করেন।
প্রতিকার
হিন্দু ধর্মে বৈশাখীকে একটি পুণ্যের উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই কারণেই এই দিনে সমস্ত সনাতনীরা একটি পবিত্র নদী বা হ্রদে গিয়ে স্নান করে এবং দান করে। বৈশাখীর দিন ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করা ও তাঁর মন্ত্র উচ্চারণ করা খুবই উপকারী বলা হয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর রূপ হিসেবে বিবেচিত সূর্য নারায়ণের আশীর্বাদ পেতে বৈশাখীর দিন আদিত্য হৃদয় স্তোত্র পাঠ করা উচিত।
দান করলে ঘুচে যাবে সব দুঃখ-কষ্ট
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, বৈশাখীর দিনে দান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস করা হয় যে বৈশাখীর দিন যদি মানুষকে অন্ন ও বস্ত্র দান করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির জীবন সারা বছরের জন্য সুখ ও সৌভাগ্য পরিপূর্ণ হতে পারে। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, বৈশাখীর দিন বিশেষ করে গম দান করা উচিত। যদি কৃষিজীবী হোন, তাহলে নতুন ফসল ও গম দান করা উচিত।
শুভেচ্ছা
শিখ ঐতিহ্যে বৈশাখীর গুরুত্ব অনেক। এ দিনে, লোকেরা শরীর ও মন শুদ্ধ করতে সকালে গুরুদ্বারে যান শিখ ধর্মাবলম্বীরা। শিখ ঐতিহ্য মতে সেবাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে সেবার মাধ্যমে গুরুর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। বৈশাখীর দিন গুরুদ্বারে দিনভর চলে নাম-কীর্তন। এ দিনে, ভক্তরা গুরু গ্রন্থ সাহেবের সামনে প্রণাম করে ও প্রসাদ গ্রহণ করেন। সারা বছর জীবনে সমৃদ্ধি কামনা করেন। বৈশাখীর দিনে দেশের সব গুরুদ্বারে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
