হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২২মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের চৈত্র নবরাত্রি। শক্তির আরাধনার এই উৎসবে দুর্গাকে খুশি করতে ও মনস্কামনা পূরণের জন্য ভক্তরা নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে নবরাত্রির সময় দেবী দুর্গার প্রিয় জিনিসগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়,তাতেই দুর্গা শীঘ্রই খুশি হন ও পছন্দসই ফল প্রদান করেন। সুপারি ও পান পাতার প্রতিকার নিয়ে নবরাত্রির সময় পান দিয়ে কিছু প্রতিকার গ্রহণ করা খুবই কার্যকর বলে মনে করা হয়। পান পাতা ও সুপারি ছাড়া আরও কিছু প্রতিকার রয়েছে সেগুলি একনজরে জেনে নিন…
– নবরাত্রির প্রথম ৫ দিনে প্রতিদিন একটি পানে চন্দন দিয়ে দশভুজার বীজ মন্ত্র লিখে দুর্গার চরণে অর্পণ করুন। নবমীর দিন সেই সমস্ত পান সংগ্রহ করে একটি লাল কাপড়ে বেঁধে আলমারিতে রেখে দিন। এমনটা হলে আর্থিক সংকট দূর হবে নিমেষে।
– নবরাত্রির পুজোয় দেবী দুর্গার সামনে প্রতিদিন একটি পানে গোলাপের পাপড়ি নিবেদন করুন। এই প্রতিকার করলে ঘরে অর্থের আগমন বাড়ে ও অর্থ সংক্রান্ত সমস্যাও দূর হয়। নবরাত্রির নয়দিন পরে, এই নয়টি পান পাতা চলমান জলে প্রবাহিত করুন। দেবী দুর্গা আপনার উপর প্রসন্ন হবেন দ্রুত।
– নবরাত্রির পুজোয় পানের ওপর এলাচ ও লবঙ্গ রেখে পান তৈরি করে দুর্গার চরণে অর্পণ করুন। এই প্রতিকার করলে সকল প্রকার ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাঙ্কের ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে এই প্রতিকার মেনে চললে ভক্তের আয় বৃদ্ধি পায় ও শীঘ্রই ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
– চাকরি ও ব্যবসায় সাফল্য পেতে, এই পানের প্রতিকার ভাল ফল দিতে পারে। নবরাত্রির সময় একটানা নয় দিন পানের দুপাশে সরষের তেল লাগিয়ে দুর্গাকে নিবেদন করুন ও রাতে এই পাতা মাথায় রেখে ঘুমান। এই প্রতিকারটি অবশ্যই চাকরি ও ব্যবসায় সাফল্য এনে দেবে।
– নবরাত্রির নয় দিনের মধ্যে পড়ন্ত মঙ্গলবার ও শনিবার, পানের মসৃণ দিকে সিঁদুর দিয়ে জয় শ্রী রাম লিখে মন্দিরে হনুমানজির হাতে নিবেদন করুন। এই প্রতিকারের ফলে জীবনের সব ধরনের দাম্পত্য ঝামেলা দূর হয়। ভুল করেও হনুমানজির পায়ে এই পান অর্পণ করবেন না।