
সকাল-সন্ধ্যে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন, কিন্তু হাতে আসছে কয়েকটি মাত্র টাকা! ভাগ্যের ফেরে পরিশ্রমের সঠিক প্রাপ্যটুকু থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন আপনি। প্রবাদ রয়েছে, কঠিন পরিশ্রমেই কপাল ফেরে। কিন্তু সেই কপাল কখনও ফিরে তাকাচ্ছে না। পরিশ্রমের কোথাও ত্রুটি রয়েছে কিনা, তা ভেবে ভেবে কূল খুঁজে না পেলে আরও দিশেহারা লাগে। আর্থিক সঙ্কট যেন পিছুই ছাড়তে চায় না। মনে করা হয়, আর্থিক খরার পিছনে রয়েছেন দেবী লক্ষ্মী। তাঁর আশীর্বাদ ছাড়া কোনও কিছুই সম্ভব নয়। হিন্দু ধর্মে দেবী লক্ষ্মীকে সম্পদের দেবী বলে গণ্য করা হয়। আর তাই, লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে বিশেষ আচার মেনে পুজো ও প্রতিকার মেনে চলা উচিত। ধনলক্ষ্মীর কৃপা থাকলে কখনও অর্থের অভাব হয় না, বিনাশ ঘটে পাপেরও।
আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিষ্ঠাভরে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে তাকে খুশি করা উচিত। ভাবছেন, অনেক নিয়ম মেনে চলতে হবে? একেবারেই নয়। রোজ মহালক্ষ্মী স্তোত্র পাঠ করলেই কেটে যাবে আর্থিক খরা। হাতে আসতে থাকবে অঢেল টাকা-পয়সা, ধন-সম্পত্তি। পরিশ্রমের পাশাপাশি ভাগ্যও থাকবে সহায়।
মহালক্ষ্মী স্তোত্র
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য ইন্দ্রদেব মহালক্ষ্মী স্তোত্র রচনা করেছিলেন। তাই দেবী লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করতে ও সম্পদ লাভের জন্য ভক্তি সহকারে মহালক্ষ্মী স্তোত্র পাঠ করতে পারেন। এই স্তোত্রটি পাঠ করার জন্য প্রথমে দেবী লক্ষ্মীকে প্রিয় জিনিসগুলি নিবেদন করা উচিত। এরপর মূর্তি বা ছবির পাশে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁর ধ্যান করা উচিত। স্তোত্র পাঠের পর দেবী লক্ষ্মীকে অন্ন অর্পণ করতে হবে।
শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর স্তোত্রম্
ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
শ্রী শ্রী লক্ষ্মীর প্রণাম মন্ত্র
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।।
লক্ষ্মীর স্তোত্র
লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।